
ছবি: সংগৃহীত
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নতুন করে শঙ্কা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনো কাটেনি, দৃশ্যমানের পাশাপাশি অদৃশ্য ষড়যন্ত্রও চলছে। তার ভাষায়, “ভোট গণনার আগ পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাবে না।”
শনিবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর শাহজাহানপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ, খালেদা জিয়ার অবস্থা, সরকার ও প্রশাসনের ভূমিকা এবং ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য দেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “শুধু সরকারের সদিচ্ছা থাকলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরও আন্তরিকতা থাকা দরকার। এখনো নানা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। বিচার সংস্কার নিয়ে যে নাটক হচ্ছে, তা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত। এসব কারণেই নির্বাচন ঘিরে মানুষের মনে সন্দেহ ও অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, গণতন্ত্র ধ্বংস করার জন্যই খালেদা জিয়াকে নির্যাতন করা হয়েছে। তার ভাষায়, “দেশে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে মানুষ নির্যাতিত। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার ওপর যে অমানবিক আচরণ হয়েছে, তা নজিরবিহীন। তাকে গৃহহীন করা হয়েছে, বন্দি করে তিলে তিলে শেষ করার চেষ্টা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের ওপর এমন কোনো অন্যায় নেই যা করা হয়নি।”
গয়েশ্বর বলেন, “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য তারেক রহমান দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছেন এবং করে যাচ্ছেন। আজকে আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হতে পারি, তাহলে এ লড়াই সফল হবে।”
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সংঘটিত সব খুন-হত্যার বিচার দাবি করে গয়েশ্বর বলেন, “বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে, অবশ্যই এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে। কোনো অপরাধী পার পাবে না।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, নির্বাচনে ভরাডুবির আশঙ্কায় আওয়ামী লীগ ও সাম্প্রদায়িক শক্তি মিলে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, “নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র চলছে। তাই আমাদের সব সময় সচেতন থাকতে হবে।”
বাংলাবার্তা/এমএইচ