
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণ শিল্প রপ্তানির নতুন সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে উঠে আসছে। শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার মেরিটাইম টেকনোলজিতে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো সুযোগ বাংলাদেশের সামনে এসেছে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী ও নীতি নির্ধারকেরা উপস্থিত ছিলেন।
শিল্প উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে জাহাজ নির্মাণ শিল্প দিন দিন উন্নত হচ্ছে। ছোট ও মাঝারি আকারের জাহাজ নির্মাণে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে দক্ষতা দেখিয়েছে। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক মানের জাহাজ তৈরি করে আমরা বিদেশে রপ্তানিও করছি। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বাংলাদেশের তৈরি জাহাজ এখন ব্যবহার হচ্ছে, যা আমাদের জন্য গর্বের।”
তিনি আরও বলেন, “পোশাক শিল্পের পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত হিসেবে জাহাজ নির্মাণ শিল্প বিকশিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে এটি নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।”
বিশ্ববাজার বিশ্লেষণ তুলে ধরে শিল্প উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বে জাহাজ পরিবহনের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশই সাগরপথে পরিবাহিত হয়। ফলে আগামী দশকে নৌযান পরিবহনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন জাহাজ তৈরির প্রবণতা বাড়বে। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য বিশাল সুযোগ তৈরি করছে।
তিনি মনে করেন, অবকাঠামো উন্নয়ন, গবেষণা, প্রযুক্তি হস্তান্তর, বিদেশি বিনিয়োগ ও সরকারি প্রণোদনা মিললে জাহাজ নির্মাণ শিল্প দ্রুত বিকশিত হবে। দক্ষ জনশক্তি প্রশিক্ষণের ওপরও তিনি জোর দেন।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের তৈরি জাহাজের দাম প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় তুলনামূলক কম, অথচ মান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। তাই বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের জাহাজের চাহিদা বাড়ছে। এটি কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আসবে এবং রপ্তানি নির্ভরতা পোশাক থেকে কিছুটা কমবে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ