
ছবি : সংগৃহীত
মোটরসাইকেলের গতি ৩০ কিলোমিটার এটা কোন ভাবেই বিজ্ঞানসম্মত নয় তাই রাজধানীর বনানীর বিআরটিএ ভবনে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন মোটরসাইকেল চালকরা।
রোববার (১৩ মে) দুপুরে বাংলাদেশ মোটরসাইকেল কমিউনিটির ব্যানারে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
এ সময় সংগঠনের সদস্য ছাড়াও শত শত সাধারণ বাইকাররা অংশগ্রহণ করেন।
মোটরবাইকারদের দাবি যেখানে রিকশা, ভ্যান, ভটভটি চলে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিতে, সেখানে মোটরসাইকেল কীভাবে ৩০ কিলোমিটার গতিতে চলবে? এটা কোনোভাবেই বিজ্ঞানসম্মত নয়। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার রাস্তায় বিআরটিএ যে গতিসীমা নির্ধারণ করেছে তাও যুক্তিসংগত নয়।
সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলোর অন্যতম হলো ‘ত্রুটিযুক্ত যানবাহন’ ও ‘অদক্ষ-অনিরাপদ চালক’। এ দুটি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করছে সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। দুর্ঘটনা কমাতে ওই দুটি কারণের দিকে নজর না দিয়ে যানবাহনের গতিসীমা নির্ধারণ করে দিয়ে তারা নতুন যে উদ্যোগ নিয়েছে তা কতটা ফলপ্রসূ হবে সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিজেদের কাজের দায় জনগণের ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন অনেকে।
মোটরবাইকের ৩০ কিলোমিটার গতিসীমা নির্ধারণের কারণে মোটরবাইকের পেছনে যেসব দ্রুতগতির যানবাহন চলবে সেগুলো সামনে থাকা মোটরবাইককে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনার পরিমাণ বাড়বে বা পেছনে থাকা যানবাহনগুলো যদি সামনে থাকা মোটরবাইকের গতিতে চলতে থাকে তাহলে যানজটের পরিমাণ আরও বাড়বে। তাছাড়া বাংলাদেশের সব রাস্তায় লেন নেই বা লেন তৈরি করাও সম্ভব নয়। মোটরবাইকের এ গতিসীমা নির্ধারণের কারণে যেখানে লেন নেই সেখানে আরও দুর্ঘটনার পরিমাণও বাড়বে।
বাংলাবার্তা/এআর