
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নানা মতপার্থক্য ও বিতর্ক থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ঘোষণা এসেছে— আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে মাগুরার শ্রীপুরে কবি ফররুখ আহমেদের গ্রামের বাড়ি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন।
শফিকুল আলম বলেন, “দল থাকলে মতপার্থক্য থাকবেই। নাহলে ভিন্নদল কেন হবে? কিন্তু আমরা আবারও বলছি, নির্বাচন ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই হবে। কোনো অবস্থাতেই তা পেছাবে না।” তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, নির্বাচনের সময় পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে।
তার ভাষায়, “এটা আমাদের অন্তর্বর্তী সরকারের একটি দৃঢ় কমিটমেন্ট। কেউ যদি মনে করেন যে এ নির্বাচন বানচাল করা সম্ভব, তাহলে সেটা কখনোই হবে না।”
এ সময় প্রেস সচিব আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টা আগের দিন তার বক্তব্যে নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরে এটিকে একটি “ফাউন্ডেশনাল ইলেকশন” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই নির্বাচন কেবল ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয় নয়, বরং এটি ভবিষ্যতের রাজনীতির ভিত্তি তৈরি করবে। সামনের নির্বাচনগুলো কোন পথে যাবে, দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি কোন দিকে যাবে—এই নির্বাচনের মাধ্যমে তার দিকনির্দেশনা তৈরি হবে।”
শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভিন্নমত থাকা কোনো অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। গণতন্ত্রের জন্যই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকা প্রয়োজন। কিন্তু সেই মতভেদকে অজুহাত বানিয়ে নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা চাই সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। মতবিরোধের কারণে নির্বাচনের সময়সীমা পাল্টে দেওয়া বা অজুহাতে তা এড়ানো যাবে না।”
সরকারি সূত্র বলছে, নির্বাচন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। দেশি-বিদেশি কূটনৈতিক মহলও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য চাপ দিচ্ছে। এর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের এই ঘোষণা নির্বাচনকে ঘিরে নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সবশেষে শফিকুল আলম বলেন, “বাংলাদেশে এই নির্বাচনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা নির্ধারণ হবে। তাই নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে হবেই।”
বাংলাবার্তা/এমএইচ