
ছবি: সংগৃহীত
জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর অভিনীত দ্বিতীয় সিনেমা ‘সাবা’ আজ (শুক্রবার) দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। মেহজাবীনের প্রথম সিনেমা ‘প্রিয় মালতী’ দর্শকমহলে ব্যাপক প্রশংসা পায়। সেই সফলতার পর এবার ‘সাবা’ নিয়ে তিনি ফের চলচ্চিত্রপ্রেমীদের সামনে হাজির হয়েছেন।
সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মেহজাবীন। পরিচালক মাকসুদ হোসাইন পরিচালিত এ ছবিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন মোস্তফা মনওয়ার, রোকেয়া প্রাচীসহ অনেকে। চলচ্চিত্রটি পরিবার, মানবতা এবং ব্যক্তিগত সংগ্রামের গল্প ঘিরে তৈরি। সাবা সাধারণ পরিবারের মেয়ে; তার বাবা নিখোঁজ এবং মা হুইলচেয়ারে নির্ভরশীল। এই পরিস্থিতিতে সাবাকে নিজের জীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিতে হয়।
মেহজাবীন বলেন, “সাবা আমার খুব পছন্দের একটি সিনেমা। গল্পটি আমাকে গভীরভাবে টেনেছে। আশা করি, দর্শকরা, বিশেষ করে বাবা-মা সঙ্গে নিয়ে আসা দর্শকরা, সিনেমাটি দেখবেন। এটি তাদের মনে গভীর ছাপ রাখবে।”
সিনেমা মুক্তির আগে ‘সাবা’ ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করেছে টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। এছাড়া ছবিটি বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রদর্শিত হয়ে সমালোচকদের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া অর্জন করেছে। বিশেষ করে চলচ্চিত্রটির সামাজিক বার্তা, মেহজাবীনের অভিনয় দক্ষতা ও পরিচালনার সূক্ষ্মতা আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
সিনেমার গল্প এবং চরিত্র নির্মাণে নির্মাতারা দর্শককে আবেগ ও সহমর্মিতার সঙ্গে জড়িয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন। বিশেষ করে হুইলচেয়ারভুক্ত মায়ের চরিত্র এবং নিখোঁজ বাবার গল্প দর্শককে আবেগঘন মুহূর্তে নিয়ে যায়। সিনেমার দৃশ্যগুলিতে সাধারণ মানুষের জীবনের সংগ্রাম, পরিবারিক বন্ধন এবং সাহসিকতার প্রভাব ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
মুক্তি উপলক্ষে নির্মাতা মাকসুদ হোসাইন বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য ছিল একটি সত্যিকার এবং হৃদয়স্পর্শী গল্প তুলে ধরা। আমরা চাই দর্শকরা চরিত্রগুলোর অনুভূতিতে নিজেকে খুঁজে পাবে। মেহজাবীনের অভিনয় ছবিতে প্রাণ যোগ করেছে।”
চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে একযোগে মুক্তি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ‘সাবা’ কেবল বিনোদনমূলক সিনেমা নয়, এটি একটি সামাজিক বার্তা বহনকারী চলচ্চিত্র, যা পরিবার ও সমাজের বাস্তবতার সঙ্গে দর্শককে যুক্ত করবে।
‘সাবা’ রোমান্টিক নাটক ও পারিবারিক সংগ্রামের মিশ্রণে নির্মিত। চলচ্চিত্রটি শিশুসহ পুরো পরিবার দেখার জন্য উপযুক্ত। এর সামাজিক বার্তা, আবেগঘন দৃশ্য এবং মেহজাবীনের দক্ষ অভিনয় দর্শকদের হৃদয়ে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ