
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ ক্রিকেটের উজ্জ্বল তারকা শেখ মেহেদী হাসানকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবার টি-টোয়েন্টি দলের সহ-অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। এই দায়িত্ব পেয়েই তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন, তবে দায়িত্বের গুরুত্বও অনুভব করছেন। মেহেদী, যিনি সাধারণত দলের প্রয়োজনীয় মুহূর্তে ব্যাটে-বলে অবদান রাখতে সক্ষম, এবার বাংলাদেশের একটি প্রধান ক্রিকেট ফরম্যাটের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলাবেন। তার এই নিয়োগ ২০২৫ সালের মার্চ মাসে আরব আমিরাত এবং পাকিস্তান সফরের জন্য ঘোষিত টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গেল রোববার, ৪ মার্চ, যখন বিসিবি আরব আমিরাত ও পাকিস্তান সফরের জন্য জাতীয় দলের স্কোয়াড ঘোষণা করেছিল, তখন লিটন দাসকে নতুন অধিনায়ক করে তার ডেপুটি হিসেবে মেহেদী হাসানের নাম ঘোষণা করা হয়। এটি মেহেদীর জন্য এক ধরনের গর্বের মুহূর্ত, যেহেতু বাংলাদেশের হয়ে এমন একটি দায়িত্ব সচরাচর কেউ পায় না। দায়িত্বের প্রতি তার এই গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালো লাগা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “দেশের হয়ে এসব সুযোগ সচরাচর কেউ পায় না। সেদিক থেকে এটা গর্বের জায়গা, তাই ভালো লাগাটা তো আছেই।”
অধিনায়কত্ব বা সহ-অধিনায়ক হওয়ার চেয়ে দলের পারফরম্যান্সকে সবার আগে মূল্যায়ন করার কথা জানিয়ে মেহেদী বলেন, “এটা তো একটা দায়িত্ব। আসলে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। আমি বা অন্য কেউ অধিনায়ক হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ না, দলের পারফরম্যান্সটা গুরুত্বপূর্ণ। দেখা যাক কী হয়, সামনে তো অনেক খেলা আছে।”
মেহেদী হাসানের জন্য টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি একটি নতুন এবং গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি। মেহেদীর ক্যারিয়ারও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বেশ উজ্জ্বল। তিনি এখন পর্যন্ত দেশের হয়ে ৫৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন, যেখানে ৬.৫৩ গড়ে রান দিয়ে ৪৬ উইকেট শিকার করেছেন। এছাড়াও, ব্যাট হাতে ৩৮ ইনিংসে ৩৬২ রান করেছেন তিনি। তার পারফরম্যান্স এবং সামর্থ্য দলকে বিভিন্ন সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সহায়তা করেছে।
বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা মেহেদীর এই দায়িত্ব গ্রহণে উচ্ছ্বসিত হলেও, তিনি তার সহ-অধিনায়কত্বের ভূমিকা বিষয়ে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী হলেও সবার আগে দলের সাফল্যকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন। মেহেদীর বিশ্বাস, অধিনায়কত্বের সঙ্গে আসা দায়িত্ব এবং চাপকে তিনি সহজভাবে নিতে পারবেন এবং নিজ দলের জন্য ভালো কিছু করতে পারবেন। এর পাশাপাশি, তার উজ্জ্বল ক্রিকেট ক্যারিয়ার এবং তার সমর্থকদের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়ে এই দায়িত্ব তার জীবনে নতুন এক চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের মধ্যে একের পর এক খেলোয়াড়দের অনবদ্য পারফরম্যান্স দলকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বড় মঞ্চে উপহার দিয়েছে, এবং মেহেদী হাসান এই সহ-অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করে দলের ওপর আসা চাপের মধ্যে নিজের সেরা পারফরম্যান্স প্রদর্শন করবেন বলেই আশা করা হচ্ছে। সামনে আরব আমিরাত এবং পাকিস্তান সফর রয়েছে, যেখানে মেহেদী হাসান সহ-অধিনায়ক হিসেবে দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মেহেদী হাসান এরই মধ্যে বাংলাদেশের অন্যতম কার্যকরী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হিসেবে নিজের পরিচিতি গড়েছেন, আর তার সহ-অধিনায়ক হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার মাধ্যমে দল আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ