
ছবি: সংগৃহীত
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ অন্তর্বর্তী সরকার। এই নির্বাচন সামনে রেখে জোরদার হচ্ছে ইসলামি দলগুলোর ঐক্যের তৎপরতা। এতদিন বিএনপির মিত্র হিসেবে থাকা জামায়াতে ইসলামী এবার ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যে ভিড়ছে এটাও মোটামুটি নিশ্চিত।
ইসলামি দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফ্যাসিবাদী আমলে ইসলামপন্থি দলগুলো নানাভাবে নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছে। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশকে বিবেচনায় নিয়ে আদর্শিক দ্বন্দ্ব ভুলে বৃহত্তর স্বার্থে এক হওয়ার জন্য ঐক্যের প্রক্রিয়া অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছেন তারা। জামায়াতকে নিয়েই এই ইসলামি জোটের সমীকরণ এগোচ্ছে।
গত বছর ৫ আগস্টের পর ইসলামি দলগুলো নিয়ে ঐক্যের ডাক কিংবা এক প্ল্যাটফর্মে আনার আলোচনা শুরু করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এরপর এ প্রক্রিয়ায় সরব হয় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এরই মধ্যে বেশ কয়েক দফা বৈঠক করেছে ইসলামি দলগুলো। তবে আসন সমঝোতার বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আপাতত প্রতিটি দল নিজস্ব সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়। সামগ্রিক ঐক্যের ব্যাপারে তারা আশাবাদী।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দীন মিডিয়াকে বলেন, ‘ঐক্যের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। সবাই নিজ নিজ দলে কাজ করছি। মতভেদ, আদর্শিক বিভক্তি এখন আর নতুন বাংলাদেশে কোনো ইস্যু হবে না। ইসলামি দলগুলোর ঐক্যের প্রক্রিয়াটি খুবই পজিটিভলি এগোচ্ছে। ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশ, মতভেদ ভুলে সবাই পাশে থাকবে। ঐক্য হবেই।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মো. ইউনূস আহমেদ মিডিয়াকে বলেন, ‘আমরা সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। সবাই পজিটিভ আছে। কওমি ঘরনার যারা আছে তারা তো সবাই মোটামুটি এক হয়ে আছে। সব দলের সঙ্গে যোগাযোগ, মিটিং চলমান। এরপর শিডিউল ঘোষণার আগে বা পরে আমরা বসে আসন বণ্টনের মাধ্যমে সমঝোতা করবো। আমরা সমঝোতার দিকে যাচ্ছি এটা নিশ্চিত।’
তিনি বলেন, ‘জামায়াতসহ ঐক্য হবে এটা মোটামুটি নিশ্চিত। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঐক্যের ব্যাপারে পজিটিভ। আশা করি সমঝোতাও হবে। আপাতত প্রত্যেক দল তার এলাকায় কাজ করছে। আসন সমঝোতার সময় কে কোথায় নির্বাচন করবে, তখন সে সিদ্ধান্ত হবে।’
বাংলাবার্তা/এমএইচ