
ছবি: সংগৃহীত
সরকার দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত মাঠ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ের ১০২ জন সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসি ল্যান্ডকে একযোগে প্রত্যাহার করেছে। এসব কর্মকর্তাদের নতুনভাবে পদায়নের জন্য বিভাগীয় কমিশনারদের কার্যালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বুধবার (৩০ জুলাই) এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. শাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পৃথক ৮টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনস্বার্থে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) প্রশাসন ক্যাডারের যেসব কর্মকর্তা মাঠ প্রশাসনে সহকারী কমিশনার বা সিনিয়র সহকারী কমিশনার হিসেবে ভূমি সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করছিলেন, তাদেরকে প্রত্যাহার করে সাময়িকভাবে বিভিন্ন বিভাগীয় কমিশনারদের অধীনে রাখা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তাদের নতুন কর্মস্থলে পদায়ন করা হবে।
এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এসি ল্যান্ডরা মূলত উপজেলায় ভূমি সংক্রান্ত প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন। সাধারণ মানুষের জমি সংক্রান্ত সেবা, নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর, খাস জমি ব্যবস্থাপনা এবং ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তিতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা থাকার কারণে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রেও তাদের ভূমিকা অপরিসীম।
জনপ্রশাসন সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মাঠ প্রশাসনে গত কয়েক বছর ধরে ভূমি অফিসগুলোর আধুনিকায়ন, ডিজিটাল রেকর্ড সংরক্ষণ এবং সেবার মানোন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় অনেক এলাকায় কর্মরত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জনঅসন্তোষ, দুর্নীতির অভিযোগ কিংবা দীর্ঘদিন একই জায়গায় কর্মরত থাকার কারণেও এ ধরনের একযোগে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত এসেছে।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সময়মতো এই ধরনের পদক্ষেপ নিলে প্রশাসনিক গতিশীলতা বাড়ে এবং জনগণ অধিকতর স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ সেবা পায়।
জনস্বার্থে এমন ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে মাঠপর্যায়ে ভূমি প্রশাসনে নতুন গতি আসবে বলেই আশা করা হচ্ছে। এসব কর্মকর্তার নতুন কর্মস্থলে দ্রুত পদায়নের পর সরকারের উন্নয়ন ও সেবামূলক কার্যক্রমে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা।
বাংলাবার্তা/এমএইচ