
ছবি: সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এক উচ্চমাত্রার সামরিক অভিযান চালিয়েছে, যার লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং এর সামরিক নেতৃত্বকে দুর্বল করা। এই অভিযানে ইরানের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তারা নিহত হয়েছেন বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে। এই ঘটনায় গোটা অঞ্চলে গভীর উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
বিবিসির বরাতে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান চিফ অব স্টাফ জেনারেল মোহাম্মদ হোসেইন বাঘেরি, যিনি দীর্ঘদিন ধরে ইরানের প্রতিরক্ষা ও কৌশলগত পরিকল্পনার মূল নেতৃত্বে ছিলেন। তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ এবং ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস (IRGC)-এর সামরিক কার্যক্রমের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী।
তাঁর সঙ্গে আরও নিহত হয়েছেন IRGC প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি, যিনি ইরানের সাম্প্রতিক প্রতিরক্ষামূলক প্রস্তুতি এবং ইসরায়েলবিরোধী কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন। এছাড়াও নিহত হয়েছেন খাতাম আল-আম্বিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টার্স-এর কমান্ডার জেনারেল গোলাম আলী রাশিদ, যিনি IRGC-এর কৌশলগত পরিচালনা ও প্রতিরক্ষা অবকাঠামোর অন্যতম দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন।
পারমাণবিক খাতে বিশিষ্ট দুইজন বিজ্ঞানীও এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান এবং বিজ্ঞানী ফেরেইদুন আব্বাসি, যিনি দেশটির ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। অপরজন হচ্ছেন মোহাম্মদ মাহদি তেহরানচি, যিনি পরমাণু অস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন বলে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দাবিও রয়েছে।
এই অভিযানে আরও গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সাবেক সচিব ও সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা আলী শামখানি। তেহরানে একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলার সময় তিনি আহত হন বলে ইরানি সংবাদ সংস্থা ইরনা জানিয়েছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ