
ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক ঘণ্টাব্যাপী ফোনালাপে ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সংকট কেবল রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে সমাধান করার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহস্পতিবার, যেখানে শুধু মধ্যপ্রাচ্যের ইস্যুই নয়, বরং ইউক্রেন যুদ্ধে বর্তমান পরিস্থিতি ও বৈশ্বিক নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও আলোচনা হয়েছে।
ক্রেমলিনের উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানান, পুতিন স্পষ্টভাবে ট্রাম্পকে বলেন, রাশিয়া যেসব মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, বিশেষ করে ইউক্রেনের প্রেক্ষাপটে, তা থেকে সরে আসবে না। তবে, একই সঙ্গে রাশিয়া আলোচনার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আগ্রহী এবং তা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তিনি বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতির পেছনের কারণসমূহ রাশিয়া পুরোপুরি বুঝতে পেরেছে এবং নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনে তারা অটল থাকবে।”
ইরান-ইসরাইল সংঘাত নিয়ে পুতিনের বক্তব্য ছিল বিশেষ গুরুত্বপুর্ণ। তিনি বলেন, এই ধরনের সংবেদনশীল এবং ভঙ্গুর ইস্যু কেবল কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানযোগ্য। যেকোনো সামরিক অপারেশন বা সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকা উচিত, যাতে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা এবং মানবিক দুর্ভোগের সম্ভাবনা এড়ানো যায়। পুতিনের এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইতিবাচক সংকেত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
উশাকভের ভাষ্য অনুযায়ী, দুই নেতার মধ্যে ফোনালাপ ছিল আন্তরিক ও ফলপ্রসূ, যেখানে উভয় পক্ষ নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে তুলে ধরেছে। এছাড়া, আলোচনায় আরও উঠে এসেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যু যেমন ব্যবসায়িক সম্পর্ক, নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও বিশ্ব অর্থনীতির অগ্রগতি বিষয়ে সহযোগিতার পথও।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ফোনালাপের মাধ্যমে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের কিছুটা স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সক্ষম হবে, যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত এখনো গুরুতর চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে। পুতিন ও ট্রাম্পের কথোপকথন থেকে আশা করা যায়, ভবিষ্যতে অন্তত কূটনৈতিক মাধ্যমে সমস্যাগুলোর সমাধানের সুযোগ বেড়ে যাবে।
ফোনালাপের সময়কাল ছিল প্রায় এক ঘণ্টা এবং এটি দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে সাম্প্রতিকতম একটি উচ্চপর্যায়ের আলোচনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এতে বিশ্ব রাজনীতির নানা সংকটের দিকে নজর রেখে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে, তারই এক প্রতিফলন দেখা যায়।
বাংলাবার্তা/এমএইচ