
ছবি: সংগৃহীত
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচার আজ (২৭ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ শুরু হচ্ছে। এ মামলার সূত্র ধরে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এক ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের বিচার প্রক্রিয়ার সূচনা হলো।
আজ ট্রাইব্যুনালে অনুষ্ঠিত হবে মামলার সূচনা বক্তব্য। পাশাপাশি সাক্ষ্যগ্রহণও শুরু হতে পারে। মামলাটির গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো, এতে সরকারি ও রাজনৈতিক উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা অভিযুক্ত। এর মধ্যে রয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদ, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এক কমিশনারসহ মোট ৩০ জন।
আগে গত ৬ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল-২ এই ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেওয়া হয় ৩০ জুন, আর ২৪ জুন তদন্ত সংস্থা তার তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে জমা দেয়।
আজ সকালে গ্রেফতার হওয়া ছয় আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। এর মধ্যে বেরোবির সাবেক ভিসি ও পুলিশের কমান্ডার অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে, ২৪ আসামি এখনও পলাতক। তাদের পক্ষে সরকারি খরচে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই মামলার বিচার দেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল কাদের বলেন—
"শহীদ আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড শুধু একটি হত্যাকাণ্ড নয়, এটি ছিল গণঅভ্যুত্থান দমন অভিযানের অংশ। ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া শুধু শাস্তি নিশ্চিত করবে না, বরং ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।"
স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে এই হত্যার বিচারকে প্রত্যাশা করা হয়েছে। তারা আশা করছেন, ট্রাইব্যুনাল স্বচ্ছ ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করবে। মানবাধিকার সংস্থা আলোকিত বাংলাদেশও এ মামলার যথাযথ বিচার ও দ্রুত কার্যক্রমে আশাবাদী।
বাংলাবার্তা/এমএইচও