
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্রিকেট মহলে তৈরি হয়েছে ব্যাপক আগ্রহ ও আলোচনা। আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের জন্য তিনটি ক্যাটাগরি থেকে মোট ৬০ জন কাউন্সিলর মনোনয়ন নিয়েছিলেন। তবে মনোনয়ন জমা পড়েছে মোট ৫১টি, যা নির্বাচনের ধাপগুলোকে আরও সরল করেছে।
মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শেষে দেখা গেছে, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের পরিচালক পদে ভোটাভুটি হবে না। কারণ, এই তিন বিভাগে মোট চারটি পরিচালক পদ রয়েছে এবং সেখান থেকে যথাযথ সংখ্যক মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। ফলে তিন বিভাগের বর্তমান ও আগামী নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা স্পষ্ট।
-
খুলনা বিভাগ:
খুলনা থেকে জমা পড়েছে ২টি মনোনয়ন, যা খুলনা বিভাগের দুইটি পরিচালক পদ পূরণের জন্য যথেষ্ট। জাতীয় দলের নির্বাচকের দায়িত্ব ছাড়া, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আব্দুর রাজ্জাক এবং জুলফিকার আলি খান আগামী নির্বাচনে পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। -
সিলেট বিভাগ:
সিলেট থেকে একমাত্র মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। ফলে রাহাত শামস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিলেট বিভাগের নতুন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। -
বরিশাল বিভাগ:
বরিশাল থেকেও একটি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। সাখাওয়াত হোসেন বরিশাল বিভাগের নতুন পরিচালক হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন।
ক্যাটাগরি ওয়ান থেকে মোট ২৫ জন জেলা ও বিভাগীয় কাউন্সিলর মনোনয়ন তুললেও শেষ পর্যন্ত ১৮ জনই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে বিভাগ অনুযায়ী বণ্টন এমন:
-
ঢাকা: ৩টি মনোনয়ন
-
চট্টগ্রাম: ৪টি
-
খুলনা: ২টি
-
রাজশাহী: ৪টি
-
রংপুর: ৩টি
-
বরিশাল: ১টি
-
সিলেট: ১টি
ক্যাটাগরি টু–এর ক্লাব ক্যাটাগরিতে মোট ৩২টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে ৩০টি জমা পড়েছে। যে দুটি মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি তার মধ্যে একজন হলেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন, যিনি ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন নিলেও শেষ পর্যন্ত জমা দেননি।
ক্যাটাগরি ৩ থেকে মোট তিনজন মনোনয়নপত্র নিয়েছিলেন এবং তিনজনই জমা দিয়েছেন। এই ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হওয়ার জন্য মাত্র একটি পরিচালক পদ রয়েছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া প্রার্থীরা হলেন:
-
সাবেক ক্রিকেটার দেবব্রত পাল, যিনি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিলর
-
সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট
-
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজউদ্দিন মো. আলমগীর
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদে নতুন সদস্যরা দায়িত্ব নিলে বোর্ডের কার্যক্রম ও ক্রিকেট সংস্কৃতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত পরিচালকরা দলের অভিজ্ঞতা, ক্রীড়া জ্ঞান এবং প্রশাসনিক দক্ষতার মাধ্যমে বিসিবির কার্যক্রমকে আরও কার্যকর ও ফলপ্রসূ করতে পারবেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নির্বাচিত পরিচালকরা জাতীয় ক্রিকেটের উন্নয়ন, যুব ক্রিকেটারদের উদ্দীপনা এবং বিভিন্ন ক্রিকেট বিষয়ক নীতি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। এছাড়া বোর্ডের নীতি নির্ধারণ, ক্লাব ও জেলা পর্যায়ের কার্যক্রম এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে সমন্বয় বাড়াতে তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে।
৬ অক্টোবরের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই ক্রিকেট মহলে আগ্রহ চরমে পৌঁছেছে। খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া পরিচালকরা বিসিবির ভবিষ্যৎ কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। অন্যান্য ক্যাটাগরিতেও মনোনয়ন যাচাই ও বাছাই শেষে নতুন পরিচালক তালিকা চূড়ান্ত হবে, যা বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রশাসনিক এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ