
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশের সার্ভার সচল করা হয়েছে এবং এখন যাত্রীদের যথাসময়ে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সোমবারের সাময়িক সার্ভার বন্ধের পর মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশের সার্ভার এখন পুরোপুরি সচল রয়েছে। এতে করে আন্তর্জাতিক রুটে যাতায়াতকারী যাত্রীদের আর কোনো ভোগান্তির আশঙ্কা নেই বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ বলেছে, "যাত্রীদের যথাসময়ে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করা হলো।"
এর আগে সোমবার (২ জুন) বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন সার্ভারে রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলছিল। এই রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমের জন্য সার্ভার কিছু সময়ের জন্য অচল হয়ে পড়ে। ফলে বিমানবন্দরে আগত ও প্রস্থান করতে যাওয়া আন্তর্জাতিক যাত্রীদের মধ্যে সাময়িক জটিলতা সৃষ্টি হয়। তবে কর্তৃপক্ষ আগেই জানায় যে এটি একটি পূর্বনির্ধারিত রক্ষণাবেক্ষণ প্রক্রিয়া এবং অল্প সময়ের মধ্যেই তা সম্পন্ন করে সার্ভার আবার সচল করা হবে।
পুলিশ সদর দফতরের সূত্র জানায়, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নিরাপত্তার স্বার্থে ইমিগ্রেশন সার্ভারে সময় সময় রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন হয়। তবে এ ধরনের কার্যক্রমের সময় যাত্রীদের যাতে অসুবিধা না হয়, সেজন্য আগাম সতর্কতা এবং বিকল্প পদ্ধতির ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, সার্ভার সচল হওয়ার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই পরিচালিত হচ্ছে এবং কোনো ধরণের বিঘ্ন ছাড়াই যাত্রীদের আগমন ও বহির্গমন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে। ইতোমধ্যে সব কাউন্টারে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে আরও জানানো হয়, ভবিষ্যতে এ ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমের সময় যাত্রীদের যেন দুর্ভোগ পোহাতে না হয়, সেজন্য আরও আধুনিক এবং ব্যাকআপ প্রযুক্তি যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যস্ত এবং প্রধান আন্তর্জাতিক গেটওয়ে। প্রতিদিন শত শত ফ্লাইটে হাজার হাজার যাত্রী এ বিমানবন্দর ব্যবহার করে থাকেন। তাই যেকোনো ধরনের প্রযুক্তিগত সমস্যা বা সেবায় বিঘ্ন ঘটলে তা দেশের সামগ্রিক বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রভাব ফেলে।
সার্ভার সচল হওয়ায় আবারও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্নভাবে পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য স্বস্তির বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে সবাইকে সময়মতো বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়ে যথাসময়ে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করার আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ