ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নতুন যে নির্বাচন হয়েছে তার ফলাফল স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিল পরাজিত প্রার্থী নাসরিন আক্তার নিপুণ। হাইকোর্টে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ফলাফলের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
সঙ্গে অনিয়মের ঘটনায় তদন্তের পাশাপাশি রুল জারি করা হয়েছে।
সোমবার (২০ মে) শিল্পী সমিতির বিগত নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে পরাজিত প্রার্থী নিপুণের করা এক রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
আদালতে নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক।
গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে নিপুণ ও মাহমুদ কলি প্যানেলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মিশা-ডিপজল প্যানেল। ভোট গ্রহণ শেষে ২০ এপ্রিল সকালে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর ২৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। আর ১৭০ ভোট পান তার প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি প্রার্থী মাহমুদ কলি।
অন্যদিকে মাত্র ১৬ ভোটের ব্যবধানে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের কাছে হেরে যান নিপুণ আক্তার। যেখানে ডিপজল পান ২২৫ ভোট আর নিপুণ আক্তার পান ২০৯ ভোট। ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর নিপুণ ডিপজল ও মিশাকে ফুলের মালা পরিয়ে দেন। মিশা ও ডিপজল তাদের গলায় পরিয়ে দেওয়া মালা নিপুণকে পরিয়ে দেন। তবে ফুলের মালা দিয়ে বরণের ২৫ দিন পর এবারের নির্বাচিত কমিটির কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন নিপুণ।
রিট নিয়ে নিপুণ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বাতিল ভোটের সংখ্যা সঠিক দেননি। আমার জানামতে, ৮১টি ভোট বাতিল হয়েছে। কিন্তু তারা ৪০টি ভোট বাতিল দেখিয়েছে। এ নিয়ে স্পষ্ট করে কোনো কিছুই আমাদের প্যানেলকে জানায়নি নির্বাচন কমিশন।’
বাংলাবার্তা/এআর