
ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বৃহত্তম শহর গাজা সিটিতে সরাসরি হামলা শুরুর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা শহরটিতে প্রাথমিক সামরিক অভিযান শুরু করেছে এবং গাজা সিটিকে পুরোপুরি যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা করেছে।
আইডিএফ জানায়, এখন থেকে গাজা সিটিতে ত্রাণ সহায়তার জন্য আর কোনো বিরতি থাকবে না। গত মাসে আন্তর্জাতিক চাপ ও সমালোচনার মুখে তারা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ‘কৌশলগত বিরতি’ ঘোষণা করেছিল। ওই সময়ে সীমিত পরিসরে ত্রাণ সরবরাহের সুযোগ থাকলেও, নতুন ঘোষণায় সেই বিরতি বাতিল করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আরবি ভাষার মুখপাত্র আভিচায় আদ্রি এক পোস্টে জানিয়েছেন, “আমরা আর অপেক্ষা করছি না। প্রাথমিক অভিযান শুরু হয়েছে এবং হামলার প্রথম ধাপে শহরের উপকণ্ঠে পূর্ণ শক্তি দিয়ে অভিযান চালাচ্ছি।”
ইসরায়েলি সেনারা ইতিমধ্যেই গাজা সিটির বিভিন্ন অংশে ট্যাংক মোতায়েন করেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে শহরটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য ব্যাপক সামরিক প্রস্তুতি নেয়ার পাশাপাশি নতুন করে ৬০ হাজার রিজার্ভ সেনাও জড়ো করা হচ্ছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, বোমাবর্ষণের কারণে বিপুলসংখ্যক মানুষ শহরের পূর্বাঞ্চলের দিকে সরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। ত্রাণ সংকট এবং হাসপাতালের উপর চাপ দিন দিন বাড়ছে।
এর আগে আগস্টের শুরু থেকেই গাজা সিটির বিভিন্ন এলাকায় আকাশ ও স্থলপথে অব্যাহত বোমাবর্ষণ চালাচ্ছিল ইসরায়েলি বাহিনী। সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য এই হামলা শুধুমাত্র প্রাথমিক পদক্ষেপ; সামনের দিনে আরও বড় এবং কঠোর অভিযান চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
উভয় পক্ষের সংঘাত এবং মানবিক সংকট বেড়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন। জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ইতিমধ্যেই মানবিক সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা
বাংলাবার্তা/এমএইচও