
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর বিভাগের পাঁচ কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আন্দোলনের সময় দাপ্তরিক কাজ ব্যাহত করা এবং কর্মচারীদের আন্দোলনে অংশ নিতে প্ররোচনা দেওয়া।
সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এই বরখাস্ত কার্যক্রম এনবিআরের কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর বিভাগের কর্মচারীদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এসেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত ১২ মে ঘোষিত ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর বিরোধিতা করে কিছু কর্মকর্তা আন্দোলন শুরু করলে দেশের রাজস্ব আহরণ কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে। বিশেষ করে বরখাস্তকৃত কর্মকর্তারা কর্মচারীদের কাজে যোগ দিতে বাধ্য করার মতো সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। ফলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত আসে।
বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন:
-
সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের পরিচালক চাঁদ সুলতানা চৌধুরানী,
-
আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা,
-
কর অঞ্চল-০৭ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার সুলতানা হাবীব,
-
ফরিদপুর কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার মেসবাহ উদ্দিন খান,
-
দিনাজপুর কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার মো. মামুন মিয়া।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, বরখাস্তকালের ভাতা প্রদান করা হবে, তবে তারা দপ্তর থেকে ছুটি পাবেন। আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এনবিআরের এই পদক্ষেপ রাজস্ব আহরণে সুশৃঙ্খলতা বজায় রাখার একটি সংকেত। অর্থনীতি বিশ্লেষক ড. সেলিম রেজা বলেন, “দপ্তরীয় কাজে বাধা দেওয়ার ফলে রাজস্ব সংগ্রহ ব্যাহত হলে দেশের অর্থনীতির উপর প্রভাব পড়ে। এই ধরনের ব্যবস্থা কর্মীদের সতর্ক করার জন্য জরুরি।”
এ ছাড়াও, এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব এই আদেশে স্বাক্ষর করেছেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও একই দিনে কাস্টমস বিভাগের দুই অতিরিক্ত কমিশনারসহ চার কাস্টমস কমিশনারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল। অর্থাৎ, সাম্প্রতিক সময়ে এনবিআরে বরখাস্তের সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে পৌঁছেছে, যা নীতিমালা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কঠোর বার্তা হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
বাংলাবার্তা/এসজে