
ছবি: সংগৃহীত
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি এখন নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে এ পরিবর্তন আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের চারটি প্রধান সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রাখতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যা ৬টার পর নিম্নচাপটির অবস্থান ছিল ১৮.৮০° উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৪.৮° পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে প্রায় ৮৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৮৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা থেকে ৬৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর ফলে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকাল নাগাদ এটি দক্ষিণ উড়িষ্যা ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিম্নচাপটির প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া প্রবাহিত হতে পারে। ইতোমধ্যেই সেখানে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য সৃষ্টি হয়েছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে একটানা বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে।
এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্কবার্তা মেনে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, উত্তর বঙ্গোপসাগরে থাকা সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানতার সঙ্গে চলাচল করতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে না যাওয়ার জন্যও সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, নিম্নচাপটির প্রভাব সাময়িকভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাত বাড়াতে পারে। তবে সেটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বিশেষ বার্তা দেওয়া হবে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ