
ছবি: সংগৃহীত
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছিল যখন দুই দেশের মধ্যে বিমান হামলা ও পাল্টা হামলার মধ্যে ব্যাপক ক্ষতি হয়। তবে, এই পরিস্থিতির মাঝে, এক সময়ে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আসে—কিন্তু প্রশ্ন হল, কে প্রথম যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল?
এখন, সিএনএনের সাংবাদিক নিক রবার্টসনের দাবি অনুসারে, পাকিস্তান প্রথমে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়, যদিও ভারত তার পরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কামনা করে। সিএনএনের এক সাক্ষাৎকারে রবার্টসন জানান, পাকিস্তানের শক্তিশালী পাল্টা আক্রমণ ভারতের অবস্থানকে নাড়িয়ে দেয় এবং ভারত দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য কামনা করে।
৭ মে, ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তানে ‘অপ্ররোচিত’ হামলা চালায়, যার ফলে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া ছিল দ্রুত এবং শক্তিশালী। পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে এবং প্রায় এক ডজন ড্রোন গুঁড়িয়ে দেয়। ভারতের কাছে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হয়, যেখানে তারা তাদের আকাশসীমার ওপর হামলা চালানোর জন্য ড্রোন পাঠায় এবং পাকিস্তান সেগুলোর বেশিরভাগই গুলি করে ভূপাতিত করে।
এরপর, ভারত পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটিতে একযোগে হামলা চালায়, যার ফলে পাকিস্তান তার সামরিক শক্তি প্রয়োগে বাধ্য হয়। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, এই হামলা বিমান থেকে পরিচালিত হয়েছিল।
এদিকে, পাকিস্তান তার পাল্টা হামলা চালিয়ে ভারতের সামরিক স্থাপনায় মিসাইল আক্রমণ করে এবং ‘অপারেশন বুন্যা নুম মারসূস’ নামে এক অভিযান শুরু করে, যার লক্ষ্য ছিল ভারতের সামরিক ঘাঁটি এবং মিসাইল সংরক্ষণ কেন্দ্র।
এই সময়, বিশ্ব নেতাদের মধ্যে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যস্থতায় এগিয়ে আসেন। তিনি ঘোষণা করেন যে ভারত এবং পাকিস্তান একযোগে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
সিএনএনের রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান প্রথমে সামরিক বিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল, তবে ভারতের তিনটি বিমানঘাঁটিতে হামলার পর পাকিস্তান তার সামরিক শক্তি প্রয়োগে বাধ্য হয়। এরপর, ভারতের পক্ষ থেকে দ্রুত যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব এবং তুরস্কের মধ্যে মধ্যস্থতা চাওয়া হয়।
কূটনৈতিক আলোচনার পর, যুদ্ধবিরতির সমঝোতা হয় এবং শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হয়। তবে, এই যুদ্ধবিরতির মূল প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের পানির অধিকার ইস্যু এখনো আলোচনার টেবিলে রয়েছে।
বিশ্ব রাজনীতির জন্য এই মুহূর্তটি ছিল একটি সংকটময় মুহূর্ত, যা রবার্টসনের মতে ‘এখন না হলে কখনো নয়’ ধরনের পরিস্থিতি ছিল।
বিশ্বের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ এবং কূটনৈতিকরা এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রতি মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কিছু বিশ্লেষক বলেছেন, যদিও এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ, তবে পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা বিরোধের জন্য একটি স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।
এদিকে, পাকিস্তানের সামরিক বিশ্লেষকরা জানিয়েছিলেন যে পাকিস্তানের জন্য পানির অধিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এবং যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও, এই সমস্যা সমাধানের জন্য আরও গভীর কূটনৈতিক আলোচনার প্রয়োজন।
এছাড়া, ভারতীয় সরকারও যুদ্ধবিরতির এই মুহূর্তে বিভিন্ন দিক থেকে মন্তব্য করেছে, বিশেষ করে সামরিক শক্তির প্রয়োগের মাধ্যমে তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি কৌশলগত জয় পেতে সক্ষম হয়েছিল, কিন্তু সবার কাছে শান্তি প্রতিষ্ঠা এখনো একটি চ্যালেঞ্জ।
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পর, দুই দেশই চায় যে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হোক। তবে, পাকিস্তান এবং ভারত, উভয়ের জন্যই পানির অধিকার এবং সীমান্ত সমস্যা এখনও একটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। দুই দেশ এর সুষ্ঠু সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছে, তবে এটি কখন সমাধান হবে তা অনিশ্চিত।
বাংলাবার্তা/এমএইচ