
ছবি: সংগৃহীত
জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো এবার ফিরছেন তার তৃতীয় সিনেমা 'দম' নিয়ে। এই সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো তিনি জুটি বাঁধছেন নির্মাতা রেদওয়ান রনির সঙ্গে। সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত এই সিনেমাটি শুধু নিশোর ক্যারিয়ারের নতুন উচ্চতা ছোঁয়ার সম্ভাবনা রাখে না, বরং বাংলা চলচ্চিত্রেও এক নতুন ধারা তৈরি করতে পারে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিনেমাটিতে নিশোর পাশাপাশি রয়েছেন আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন দেশের একঝাঁক গুণী শিল্পী, যারা মিলে ‘দম’–কে করে তুলবেন এক অনন্য প্রযোজনা।
পরিচালক রেদওয়ান রনি জানিয়েছেন, “দম হচ্ছে একজন সাধারণ মানুষের জ্বলে ওঠার গল্প। বহু বছর ধরে এমন একটি গল্প খুঁজছিলাম, যেখানে 'কমন ম্যান'–এর শক্তি উঠে আসবে। এই গল্প শুধু আমার নয়, দর্শকদের জীবনেও বড় একটা অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারে।”
এমন গল্প নিয়ে নির্মাণে ফেরা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “অনেকদিন পর বড় পর্দায় ফিরছি। ভেবেছিলাম ফিরব এমন কিছু নিয়ে, যা মানুষের মনে আলোড়ন তুলবে। দম তেমনই একটি গল্প, যা সাহস, সংকল্প আর মনুষ্যত্বের জয়গান গায়।”
অভিনেতা আফরান নিশো নিজেও ‘দম’ নিয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত। তার ভাষায়, “এই ধরনের গল্পে কাজ করা আমার অভিনয়জীবনের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। দম শুধুই সিনেমা নয়, এটা একজন মানুষের বেঁচে থাকার, দাঁড়িয়ে যাওয়ার, লড়াই করে বেঁচে থাকার গল্প। আমার আগের দুই সিনেমার চেয়েও এটা অনেক বড় স্কেলের প্রজেক্ট। এমন গল্পের সিনেমা দেশে আগে হয়েছে বলে আমার জানা নেই।”
অন্যদিকে, সিনেমায় চঞ্চল চৌধুরী থাকছেন একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। নিজের অনুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, “রেদওয়ান রনি যখন আমাকে গল্পটা শোনালেন, আমি সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেলাম। কারণ গল্পটা চমৎকার, সাহসিকতায় ভরপুর এবং অভিনয় করার জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং। তার সঙ্গে বহুদিন পর কাজ করতে যাচ্ছি—এটাও আমার জন্য আনন্দের। আর নিশোর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করাও একটা দারুণ ব্যাপার।”
সিনেমাটি প্রযোজনা করছে বাংলাদেশের অন্যতম উদীয়মান প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসভিএফ আলফা–আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড ও জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল বলেন, “এই সিনেমাটি আমাদের পরবর্তী বড় আয়োজন। নিশোকে নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা বরাবরই বেশি। কিন্তু দম–এ তার যে চরিত্র, সেটি অন্য রকম এক মানসিকতায় তৈরি। এ সিনেমা শুধু বাণিজ্যিক নয়, এর একটি সামাজিক ও মানবিক বার্তাও থাকবে।”
চরকি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, তারা এমন একটি সিনেমার অংশ হতে পেরে গর্বিত। এটি ঈদুল ফিতরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে, যার পর ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও মুক্তি দেওয়া হবে।
এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ‘দম’–নিয়ে দর্শকদের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে পোস্টার প্রকাশ না হলেও সিনেমাটি ঘিরে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। বিশেষ করে চঞ্চল-নিশো একসঙ্গে বড়পর্দায় দেখা যাবে—এটাই দর্শকদের মধ্যে আলাদা উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
সব মিলিয়ে ঈদুল ফিতরে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দম’ হতে যাচ্ছে বছরের অন্যতম প্রতীক্ষিত সিনেমা, যা বাংলা চলচ্চিত্রে নতুন আলোচনার জন্ম দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ