
ছবি সংগৃহীত
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বৈদ্যুতিক শকে আহত একটি বানর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাজির হয়ে নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছে। গত শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত প্রতিদিন নিয়ম করে সরকারি হাসপাতালে হাজির হয় বানরটি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুর উদ্দিন রাশেদের তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্যকর্মীরা বানরটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। গত কয়েকদিন আগে বানরটি বৈদ্যুতিক শকে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয় বলে জানা যায়।
স্থানীয়রা জানান, গত বেশ কিছুদিন ধরে পাহাড়ের একটি বানরকে সীতাকুণ্ডের পৌর সদর বাজার, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। একপর্যায়ে বানরটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে উঠলে বৈদ্যুতিক তারের সাথে শক খেয়ে মারাত্মক আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে মাথায় পানি ঢাললে বানরটি কিছুটা সুস্থ হয়ে জঙ্গলের দিকে চলে যায়। এর কয়েকদিন পরে বৈদ্যুতিক শকে সৃষ্ট ক্ষত মারাত্মক আকার ধারণ করলে বানরটি শনিবার বিকালে সরকারি হাসপাতালে হাজির হয়। সেদিন থেকে হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা বানরটিকে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন।
নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, বৈদ্যুতিক শকে আহত বানরটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আমি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করি। পরদিন রবিবার বানরটি আবারও হাসপাতালে হাজির হয়। এদিনও বানরটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরে সেটি জঙ্গলের দিকে চলে যায়। একইভাবে সোমবার সকালে বানরটি চিকিৎসা নিতে আবারো হাসপাতালে আসে। আজও একইভাবে বানরকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের লোকজন বানরটি সোমবার দুপুরে নিয়ে যান বলে নুর উদ্দিন রাশেদ জানান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তাহমিনা আরজু বলেন, খবর পাওয়ার পরে বন বিভাগকে প্রাণীটিকে আমাদের ধরে দেওয়ার জন্য বলা হলেও তারা আমাদের বানরটিকে ধরে দেয়নি। আজ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে বিষয়টি অবহিত করলে তাদের দুজন কর্মচারী ও আমাদের লোকজন বানরটিকে ধরে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে আনে। বানরটিকে প্রয়োজনীয় পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা প্রদান করে পাহাড়ে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।