
ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জ জালকুড়ি-সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লাতে যত হত্য্য ও লুটতরাজ হয়েছে তার মূল পরিকল্পনাকারী ছিল জালকুড়ি উত্তরপাড়ার ৯ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেন।
নিজেকে ব্যবসায়ী দাবি করলেও তার মূল পেশা হলো দালালি। জমি বিক্রি থেকে সব জায়গায় দালালি করাই তার স্বভাব ও পেশা।
বিএনপি-জামায়াতকে হুমকি দিয়ে পোস্ট
তিনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোসর ছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনের সকল অর্থের যোগান দাতা ও পরিকল্পনাকারীও ছিল আমজাদ হোসেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের বোরকা পড়ে পালিয়ে যাওয়া সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের অন্যতম দোসর ছিল। গত ১৯ জুলাই নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি এলাকায় ভারী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে এগোচ্ছেন শামীম ওসমান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী এ রকম এক ভিডিওতেও তার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন।
এছাড়া বিগত সরকারের আমলের সব জাতীয় নির্বাচনের আগে দালাল আমজাদ হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লার সকল বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের নাম তালিকা করে, সেই তালিকা শামীম ওসমানকে পাঠাতো। পরে ওসব নেতাদের নামে মিথ্যা হয়রানিমূলক বা বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানো হতো।
শামীম ওসমানের সাথে দালাল আমজাদ
ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ এখন ক্ষমতায় না থাকলেও আমজাদ হোসেন তার অপরাধ কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে। সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকার চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অটোরিকসা স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজি, বাড়ি তৈরির সময় চাঁদা, বাড়ির রাস্তার দেয়ার নামে দু’পক্ষের থেকে চাঁদা আদায়, বিভিন্ন বিচার সালিশের নামে দু’পক্ষের থেকে টাকা আদায়সহ সব ধরনের অপরাধ নির্বিঘ্নে এখমও তিনি ও তার বাহিনী করে যাচ্ছে। এছাড়া রুপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায়ও তার চুরি, ছিনতাই ও ডাকাত বাহিনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া কোর্টে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মামলায় টাকার বিনিময়ে মিথ্যা সাক্ষীও আমজাদ হোসেন দিয়ে থাকে।
এলাকার সালিশে দালাল আমজাদ
বর্তমানে তিনি নিজেকে সব জায়গায় একজন মুক্তিযোদ্ধা দাবি করেন। আসলে তার কোনো মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট নেই। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল সাড়ে ১১ বছর। যা তার জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তখনকার বয়স। কিন্তু সাড়ে ১২ বছরের আগে কেউ নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করতে পারে না, আর সরকার থেকেও কোনো মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দেয়া হয় না।
শামীম ওসমানের সাথে দালাল আমজাদ
জনসাধারনের প্রতি অনুরোধ এই সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও দালাল আমজাদকে রোডে-ঘাটে বা যেখানেই পাওয়া যায় তাকে মারধর করে আইনের লোকদের হাতে তুলে দেয়া হোক।
জেলার সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে জালকুড়ি-ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আপামর জনসাধারণের প্রাণের দাবি দালাল, বাটপার, চাদাঁবাজকারী আমজাদ হোসেনকে গ্রেফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখীন করা হোক।
দালাল আমজাদ হোসেনের ভোটার আইডি কার্ড
প্রচারে: জালকুড়ি, সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লাবাসী
বাংলাবার্তা