
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) প্রথম আসর শুরুর আগেই নতুন বিতর্কের মুখে পড়েছে। এই বিতর্কের মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো ম্যাচ ফিক্সিং। বিশেষ করে গত দুই আসরের ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে সমালোচনা ও সন্দেহের অভিযোগ নতুন করে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল আজ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সভা করেন। সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল—ক্রিকেটে সততা বজায় রাখা, ফিক্সিং বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং খেলোয়াড়দের মানসিক প্রস্তুতি যাচাই করা।
সভা শেষে বুলবুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমাদের কাছে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন আসেনি। প্রতিবেদন আসার কথা রয়েছে আগামী সপ্তাহে। প্রতিবেদন আসার পর আমরা যথাযথ সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের ছেলে-মেয়েরা যারা ক্রিকেট খেলে, সেই খেলাটাকে রক্ষা করার জন্য আমরা অ্যালেক্স মার্শালকে নিয়ে শতভাগ শৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা করব।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ক্রিকেটকে একটি সততার ও স্বচ্ছতার খেলায় পরিণত করা। চার্টারের আওতায় ক্রিকেট ইনটিগ্রিটি এডুকেশন রাখা হয়েছে। এটি সারাদেশে খেলা এবং খেলার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হবে। এতে তারা জানবে বাংলাদেশের আইন, ইসলামিক আইন, ধর্মীয় আইন এবং মূল্যবোধ সম্পর্কে। সবমিলিয়ে আমরা চেষ্টা করব খেলার মর্যাদা ও মান বজায় রাখতে।’’
সভায় আলোচনা প্রসঙ্গে বুলবুল জানান, ‘‘আমরা ক্রিকেটারদের সঙ্গে নির্দিষ্ট প্রশ্নের মাধ্যমে জরিপ করেছি। তবে শুধু প্রশ্নের উত্তর নয়, খেলোয়াড়রা নিজেদের অভিজ্ঞতা ও মতামতও জানিয়েছেন। সিনিয়র খেলোয়াড়রা ঘরোয়া ক্রিকেটে তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করেছেন, ডিপিএলে অংশগ্রহণ সংক্রান্ত সমস্যা তুলে ধরেছেন এবং আমরা সেসব বিষয় শুনেছি। দায়িত্বরত পরিচালকরা তাদের প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিয়েছেন। সবমিলিয়ে সবাই খুব খুশি এবং সন্তুষ্ট।’’
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো নারী ক্রিকেট দলের প্রস্তুতি। বুলবুল বলেন, ‘‘আমাদের নারী ক্রিকেটাররা ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে। বর্তমানে তারা বিকেএসপিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে। ইতোমধ্যে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছি এবং খুব তাড়াতাড়ি বিস্তারিত পরিকল্পনা নিয়ে বসব। এই মুহূর্তের প্রশিক্ষণকে আমরা ভালো প্রস্তুতি বলতে পারি না, তাই আমরা চেষ্টা করছি আরও কার্যকর প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে।’’
বাংলাবার্তা/এমএইচ