
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের উপকূলীয় ও দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলীয় ৭টি জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রপাতের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার (২০ আগস্ট) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য প্রকাশিত সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সতর্কবার্তায় বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ–পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সংশ্লিষ্ট এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এজন্য এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগস্ট মাসে বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এমন দমকা ঝড় ও বজ্রপাতের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। এসব ঝড়ে ছোট আকারের নৌযান ও মাছ ধরার ট্রলার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই জেলেদের জন্য সতর্ক সংকেত মানা অত্যন্ত জরুরি। নৌবন্দর কর্তৃপক্ষকেও যাত্রী পরিবহন বা নৌযান চলাচলে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া এলাকার একজন জেলে জানান, সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলে এই সময়ে ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কা সবসময়ই থাকে। আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা আগে থেকে জানলে তারা নৌকা তীরে ভেড়াতে পারেন। কিন্তু সংকেত উপেক্ষা করলে বড় দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি হয়।
অন্যদিকে আবহাওয়া অফিসের আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। এর ফলে শহরাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সমস্যা দেখা দিতে পারে, আবার নদ–নদীর পানি বেড়ে গ্রামীণ এলাকাও প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
ঢাকায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, “বর্ষাকালের শেষভাগে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে এমন দমকা ঝড় ও ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়ে যায়। কৃষি ও পরিবহন খাতে এর প্রভাব পড়তে পারে।”
আবহাওয়াবিদেরা জানান, ঝড়ের সময় খোলা মাঠে বা উঁচু স্থাপনার নিচে অবস্থান করা বিপজ্জনক। বজ্রপাত এড়াতে বৈদ্যুতিক খুঁটি বা বড় গাছের নিচে না দাঁড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নদীবন্দর ও উপকূলীয় এলাকায় বসবাসরত মানুষদেরও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে চলাফেরা করতে বলা হয়েছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ