
ছবি: সংগৃহীত
ম্যাক্স সিক্সটি টি-টেন টুর্নামেন্টে নিজের অলরাউন্ড সামর্থ্যের চূড়ান্ত প্রদর্শন আবারও দেখালেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান। ব্যাটে-বলে দারুণ পারফর্ম করে নিজ দল মায়ামি ব্লেজকে এনে দিলেন টানা দ্বিতীয় জয়। জিমি পাওয়েল ওভালে গ্র্যান্ড কেম্যান ফ্যালকন্সকে ১৩ রানে হারিয়েছে তার দল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে থাকে মায়ামি। দলের হয়ে ইনিংস শুরু করতে নামেন সাকিব আল হাসান। প্রথম বল থেকেই ব্যাটে আক্রমণাত্মক মনোভাব স্পষ্ট করেন তিনি। প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে দ্রুত রান তুলতে থাকেন। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১১ বলে ঝড়ো ২৯ রান। এই ইনিংসে ছিল একাধিক বাউন্ডারি ও বড় ছক্কা। যদিও মালিন্দা পুষ্পাকুমারার একটি ডেলিভারিতে লং অফে রোনালদো আলী মোহামেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তবু তার ইনিংসেই দল পায় উড়ন্ত সূচনা।
সাকিবের বিদায়ের পর ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন অ্যাঞ্জেলো পেরেরা। তার ২২ বলে ৪৫ রানের ইনিংস দলকে পৌঁছে দেয় ১০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১০ রানের চৌকাঠে। ছোট ফরম্যাটের এই ম্যাচে এটা ছিল একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ স্কোর।
১১০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় গ্র্যান্ড কেম্যান ফ্যালকন্স। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকলে ব্যাটাররা কোনো জুটি গড়তে ব্যর্থ হন। দলের পক্ষে কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। ফলে নির্ধারিত ১০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৯৭ রানের বেশি করতে পারেনি তারা।
মায়ামির বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন শিহান জয়াসুরিয়া। তিনি মাত্র ১৮ রান দিয়ে শিকার করেন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। তার স্পিন ঘূর্ণিতে দিশেহারা ছিল প্রতিপক্ষ ব্যাটাররা। অন্যদিকে সাকিব বল হাতেও রাখেন তার প্রভাব। তিনি নির্ধারিত ২ ওভারে ১৯ রান দিয়ে তুলে নেন একটি উইকেট। সাকিবের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ব্যাটাররা বড় শট খেলতে পারেননি।
ব্যাটে ঝড়ো ইনিংস ও বল হাতে কার্যকর পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা না হলেও দলের জয়ে বড় অবদান রেখে চলেছেন এই বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। এবারের টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে চলেছেন তিনি। আগের ম্যাচেও তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জয় পেয়েছিল মায়ামি ব্লেজ।
এ জয়ে পয়েন্ট তালিকায় আরও এগিয়ে গেল সাকিবের দল মায়ামি। মাঠের পারফরম্যান্সে যেমন উজ্জ্বল তিনি, মাঠের বাইরেও তার নেতৃত্ব ও অভিজ্ঞতা দলকে দিচ্ছে বাড়তি প্রেরণা। এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে টুর্নামেন্টের শেষ পর্যন্ত মায়ামিকে শিরোপার দাবিদার হিসেবে ধরা যেতেই পারে।
মোট কথা, ম্যাক্স সিক্সটিতে সাকিব যেন নতুন রঙে নিজেকে তুলে ধরছেন—বয়স, অভিজ্ঞতা আর প্রতিভার এক দুর্দান্ত সমন্বয়ে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ