
Entrepreneurship and Career Development Club’র (ইসিডিসি) আয়োজনে ‘মিট দ্য সিইও থ্রি দশমিক শূন্য’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
Entrepreneurship and Career Development Club’র (ইসিডিসি) আয়োজনে ‘মিট দ্য সিইও থ্রি দশমিক শূন্য’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (০৯ অক্টোবর) দুপুর ২টায় ইউনিভারসিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক অডিটোরিয়ামে এ ইভেন্টের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে Entrepreneurship and Career Development Club’র সভাপতি মো. রেশাদ চৌধুরী সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান। এ ইভেন্টে কো-অডিনেটরের দায়িত্ব পালন করেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করিম।
‘মিট দ্য সিইও থ্রি দশমিক শূন্য’ অনুষ্ঠানে নিজের জীবনযাত্রা ও বেড়ে ওঠার গল্প শোনান ইয়াসির আজমান। ইয়াসির আজমান অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার উদ্দেশে বলেন, ‘আমি যখন ঢাকা কলেজে ভর্তি হতে চাই, তখন স্যার কিছু শর্ত দেন। স্যার জানতে চান, ‘আপনি কী ধরনের যোগ্যতা রাখেন এলেই আমি আপনাকে ঢাকা কলেজে ভর্তি নেব? তখন স্যারকে বললাম, ‘আমি গণিতে ভালো, সেখানে আমার জ্ঞান খুব শক্তিশালী। আপনি যদি গণিতের ওপর যেকোনো পরীক্ষা নেন, তবে আমি প্রয়োজনে সেখানে ১০০ তে ১০০ নম্বর পেতে পারি।’ এরপর আমি সেটা করে দেখিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সুযোগ পায়নি। তারপরও আমি থেমে যাইনি। আমরা কয়জন স্বপ্ন দেখি? আর তার মধ্যে বড় বড় স্বপ্ন দেখি কয়জনে? ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখলে বাস্তবায়ন করা যায় না। আমি পরিশ্রম ও মেধার প্রমাণ দিয়ে বড় স্বপ্ন দেখেছি আর তার শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে নিজেকে আবিষ্কার করেছি। আমার বন্ধুরা বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ে (যেমন: BUET) ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। স্কুল জীবনের বন্ধুরাও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করে। তবে, আমি হার মানতে চাইনি। আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব কমার্স ডিগ্রি লাভ করেছি। ১৯৯৭-১৯৯৯ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশন অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছি।’
ECDC’র সভাপতি মো. রেশাদ চৌধুরী বলেন, এ ইভেন্টে আমরা অনলাইন এবং অফলাইনে রেজিষ্ট্রেশনের ব্যবস্থা করেছিলাম। আমরা (ECDC) একটি সফল ইভেন্ট উপহার দিতে পেরেছি বলে আশা করি এবং ক্লাবের সব সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।