
ছবি সংগৃহীত
‘আমি যেকোনো বোলারের মুখোমুখি হতে সব সময়ই প্রস্তুত।’
আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে উঠেছে বাংলাদেশ। বুধবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এই পর্বের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশকে। গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে ম্যাচসেরা মেহেদী হাসান মিরাজের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, পাকিস্তানের পেস আক্রমণ সামলাতে তিনি প্রস্তুত কি না। তার জবাবে ওই কথা বলেন এই অলরাউন্ডার।
এমনিতে লোয়ার অর্ডারে শেষ দিকে ব্যাট করলেও কাল ওপেন করতে নেমে প্রত্যাশার দারুণ প্রতিদান দিয়েছেন মিরাজ। পাকিস্তানের বিপক্ষেও ওপেন করবেন, এমনটা ভেবে নিয়েই এক সংবাদকর্মী তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কোনো চাপ অনুভব করছেন কি না? নতুন বলে উইকেট নেওয়া মোটামুটি অভ্যাসে পরিণত করেছেন শাহিন আফ্রিদি। ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচেও নতুন বলে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিকে তুলে নিয়েছেন।
কিন্তু মিরাজ এই প্রশ্নের উত্তরেও হেসেছেন। তারপর বলেছেন, ‘আমি কোনো বোলারকে (মুখোমুখি হওয়া) নিয়ে দুশ্চিন্তা করি না। আমি মিডল অর্ডারে ভালো খেলতে চাই। হ্যাঁ, পরের ম্যাচটা আমার জন্য দারুণ সুযোগ। টপ অর্ডারেও খেলতে পারব। টিম ম্যানেজমেন্ট সে সুযোগ দিলে ভালোই হবে।’
এশিয়া কাপের হাইব্রিড ফরম্যাট করা হয়েছিল ভারতের আপত্তির কথা মাথায় রেখে। রোহিত শর্মাদের পাকিস্তান না যাওয়ার সুযোগ করে দিতে আগেই নির্ধারিত ছিল গ্রুপ অবস্থান। র্যাংকিং বা পয়েন্ট যাইই হোক না কেন, বাংলাদেশ সুপার ফোরে যাবে বি-২ দল হিসেবে। আর পাকিস্তান যাবে এ-১ দল হিসেবে। সেই অনুযায়ী, সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হচ্ছে এ-১ এবং বি-২। বুধবার ৬ সেপ্টেম্বর গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হবে সেই ম্যাচ।
সুপার ফোরে পরের ম্যাচ খেলতে শ্রীলঙ্কায় ফিরতে হবে বাংলাদেশকে। ৯ সেপ্টেম্বার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বি ১ (শ্রীলঙ্কা বা আফগানিস্তান)-এর বিপক্ষে খেলবে সাকিবরা। শেষ ম্যাচ ১৫ সেপ্টেম্বর এ ২ (সম্ভবত ভারত)'র সঙ্গে।