শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বাংলা বার্তা || Bangla Barta

বিজয় দিবস ও বঙ্গবন্ধু

প্রকাশিত: ২০:০১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২; আপডেট: ১৭:১৯, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২

বিজয় দিবস ও বঙ্গবন্ধু

ফাইল ছবি

আমার পরম সৌভাগ্য ইতিহাসের মহামানব জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ তথা মুজিববর্ষ ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে পেরেছি।

বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের অনেক স্মৃতি আমার মানসপটে ভেসে ওঠে। আজ শুধু ভাবি মহাকালের চাকাটিকে অতীতের দিকে ঘুরিয়ে যদি ৫০ বছর পেছনে নিয়ে যাওয়া যেতো, তবে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধজয়ের স্মৃতি-বিজড়িত কথা কাগজের পৃষ্ঠায় বা লেখার অক্ষরে না, বরং দুই নয়ন জুড়ে বিরাজ করতো মহান মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর জ্যোতির্ময় সশরীর উপস্থিতি। সুদর্শন, সৌম্যকান্তি তোজোদ্দীপ্ত এই মহান মানুষটির দিকে তাকিয়ে থাকতেও ভালো লাগতো। নয়নও সম্মুখে না থাকলেও চেতনার হৃদয় জুড়ে রয়েছে তার উপস্থিতি। অমিতবিক্রম তেজে তিনি আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন, সাতই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে দিয়ে গেছেন মহান মুক্তিযুদ্ধের দিকনির্দেশনা।

১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর প্রিয় মাতৃভূমিকে হানাদার মুক্ত করে ত্রিশ লক্ষাধিক প্রাণ আর দুই লক্ষাধিক মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে মহত্তর বিজয় আমরা অর্জন করি। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন সামনে নিয়ে দীর্ঘ ২৪ বছর কঠিন সংগ্রাম পরিচালনা করে, ধাপে ধাপে অগ্রসর হয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন মানুষের হৃদয়ে মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী গৌরবগাঁথা অম্লান থাকবে। তিনি এমন একজন মহামানব যার হৃদয় ছিল মানুষের প্রতি ভালোবাসায় পূর্ণ। বাংলার মানুষকে তিনি গভীরভাবে ভালোবাসতেন। বঙ্গবন্ধুর কাছে থেকে আমি তা দেখেছি। বাংলাদেশের এমন কোন স্থান নেই, যেখানে আমি বঙ্গবন্ধুর সফরসঙ্গী হইনি। হৃদয়ের গভীরতা থেকে ‘ভাইয়েরা আমার’ বলে যখন ডাক দিতেন, মানুষের হৃদয় প্রবলভাবে আন্দোলিত হতো। রাস্তার পাশে গভীর রাতে আধো-অন্ধকারে মানুষ দাঁড়িয়ে থাকতো তাকে একনজর দেখার জন্য। তিনি গাড়ি থামাতেন। মানুষটিকে বুকে টেনে নিতেন। তার সঙ্গে কুশল বিনিময় করতেন, তাকে মনে রাখতেন। সেই মানুষটিও বঙ্গবন্ধুর স্পর্শ পেয়ে নিজকে ধন্য মনে করতেন। তিনি ছিলেন এমন নেতা, যিনি কখনোই কাউকে ছোট মনে করতেন না। কাউকে কখনোই তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য বা হেয় প্রতিপন্ন করতেন না। তিনি পরকে আপন করতে জানতেন। যে তার নীতি-আদর্শে বিশ্বাসী না, সে-ও তার সান্নিধ্যে আপন হয়ে উঠত। ব্যক্তিত্বের অমোঘ এক মানবিক আকর্ষণ ছিল বঙ্গবন্ধুর। সাগর বা মহাসাগরের গভীরতা মাপা যাবে, কিন্তু বাংলার মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা কোনদিনই পরিমাপ করা যাবে না। তিনি ছোটকে বড়ো করতেন, বড়কে করতেন আরও বড়ো। আওয়ামী লীগের প্রত্যেক কর্মীকে তিনি বড় করে তুলতে চাইতেন। কোন নেতা-কর্মীর নির্বাচনী এলাকায় গেলে তার নাম ধরে সম্বোধন করে মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতেন। আমার মানসপটে ভেসে ওঠে ’৭০-এর ২৪ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুর ভোলা সফরের স্মৃতি। বরিশাল-পটুয়াখালী-ভোলা একসাথে সফরের কর্মসূচী নির্ধারণ করে একুশে ফেব্রুয়ারি শহিদ মিনারে শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রথমে ২২ তারিখ বরিশাল, ২৩ তারিখ পটুয়াখালী এবং ২৪ তারিখ ভোলার জনসভায় বক্তৃতা করেছিলেন। সেই জনসভায় স্নেহমাখা ভাষায় বক্তৃতা দিয়ে তিনি আমাকে ভোলার মানুষের কাছে তুলে ধরেছিলেন। সেই বক্তৃতার কথা বলতে আজ আমার হৃদয় ভাবাবেগে আপ্লুত হয়। আমি যা না তার থেকেও বেশি ঊর্ধ্বে তুলে ধরে-’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের কথা, কী করে কারাগার থেকে আমরা তাকে মুক্ত করেছি, ভোলার মানুষের কাছে তা বলে-আমাকে বড় করার চেষ্টা করেছেন। এমন একজন মহান নেতার নেতৃত্বেই ’৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর দেশকে আমরা হানাদার মুক্ত করেছি।

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরই তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, এই পাকিস্তান বাঙালীদের জন্য হয়নি। একদিন বাংলার ভাগ্যনিয়ন্তা বাঙালীদেরই হতে হবে। সেই লক্ষ্য সামনে নিয়েই প্রথমে নিজকে, পরে দলকে এবং বাংলার মানুষকে প্রস্তুত করে তিনি তার স্বপ্ন পূরণ করেছেন। তিনি লক্ষ্য নির্ধারণ করে রাজনীতি করতেন। সেই লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য জেল-জুলুম-হুলিয়া-অত্যাচার-নির্যাতন এমনকি ফাঁসির মঞ্চও বেছে নিয়েছেন। কোনদিন লক্ষ্যচ্যুত হননি। দলীয় প্রয়োজনে মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বভার যেমন কাঁধে তুলে নিয়েছেন, আবার জাতীয় প্রয়োজনে দলের শীর্ষ পদ ছেড়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছেন। পৃথিবীতে অনেক নেতা এসেছেন, আসবেন; কিন্তু মানবদরদী এমন নেতা অতুলনীয়। আজ বিজয়ের এই দিনে হৃদয়ের সবটুকু অর্ঘ্য ঢেলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করি।

১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর বিকাল ৪-৩০ মিনিটে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ আর আমাদের মহান বিজয় সূচিত হওয়ার সাথে সাথে আমি ছুটে গিয়েছিলাম কলকাতাস্থ থিয়েটার রোডে অবস্থিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সদর দপ্তরে। সেখানে অবস্থান করছিলেন শ্রদ্ধেয় নেতৃবৃন্দ-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রীপরিষদ সদস্য সর্বজনাব মনসুর আলী, কামারুজ্জামান এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সকলেই আনন্দে আত্মহারা! নেতৃবৃন্দ আমাদের বুকে টেনে নিয়ে আদর করেন। প্রিয় মাতৃভূমিকে আমরা হানাদার মুক্ত করেছি, মনের গভীরে যে উচ্ছ্বাস আর আনন্দ; সে আনন্দ-অনুভূতি অনির্বচনীয়! স্বাধীন বাংলার যে ছবি জাতির পিতা হৃদয় দিয়ে অঙ্কন করে নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে সশস্ত্র করে বজ্রকন্ঠে বলেছিলেন, ‘কেউ আমাদের দমাতে পারবে না।’ হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে অদম্য বাঙালী জাতি নেতার কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে সমগ্র বিশ্ববাসীকে বুঝিয়ে দিয়েছিল জাতীয় মুক্তির ন্যায্য দাবীর প্রশ্নে কেউ আমাদের ‘দমাতে’ পারে না।

’৭১-এর ৩ ডিসেম্বর সার্বিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ চূড়ান্তরূপ অর্জন করে। আমরা তখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। মুক্তিবাহিনীর চতুর্মুখি গেরিলা আক্রমণে বিধ্বস্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনী এদিন উপয়ান্তর না দেখে একতরফাভাবে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। পাকিস্তান বিমানবাহিনী পশ্চিম ভারতের বিমান ঘাঁটিগুলো এমনকি দিল্লীর কাছে আগ্রার বিমানক্ষেত্র এবং পূর্ব ফ্রন্টের আগরতলা বিমান ঘাঁটিতে অতর্কিতে আক্রমণ চালায়। উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি শ্রী ভি ভি গিরি ও ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জরুরী বৈঠক শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ভারতীয় সময় রাত ১০-৩০ মিনিটে সারা ভারতে জরুরী অবস্থা জারি করেন। রাত ১২-২০ মিনিটে ইন্দিরা গান্ধী এক বেতার ভাষণে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে সাফ জানিয়ে দেন, ‘আজ এই যুদ্ধ ভারতের যুদ্ধ হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করলো।’ পরদিন ৪ ডিসেম্বর, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ যৌথভাবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি অর্জনে চিঠি লেখেন। চিঠির মূল বক্তব্য ছিল, ‘যদি আমরা পরস্পর আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রবেশ করি, তবে পাকিস্তান সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে আমাদের যৌথ অবস্থান অধিকতর সহজতর হয়। অবিলম্বে ভারত সরকার আমাদের দেশ এবং আমাদের সরকারকে স্বীকৃতি প্রদান করুক।’ এর পরপরই ভারত পাল্টা আক্রমণ চালায় এবং ৬ ডিসেম্বর, সোমবার, ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় ভারত সরকার স্বাধীন ও সার্বভৌম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’কে স্বীকৃতি প্রদান করে। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ’৭১-এর ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে গৃহীত রাষ্ট্রের নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ উদ্ধৃত করে লোকসভার অধিবেশনে ইন্দিরা গান্ধী বলেন, “বাংলাদেশ ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নামে অভিহিত হবে।” ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তৃতার পর লোকসভার সকল সদস্য দাঁড়িয়ে তুমুল হর্ষধ্বনির মাধ্যমে এই ঘোষণাকে অভিনন্দন জানান। সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভারত সরকার ও জনসাধারণের ভূমিকা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি।

স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার ও মুজিববাহিনীর জন্য ৬ ডিসেম্বর ছিল এক বিশেষ দিন। এদিন মুজিববাহিনীর অন্যতম প্রধান হিসেবে আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত অঞ্চল যশোর হানাদার মুক্ত হয়। যশোরের সর্বত্র উত্তোলিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। সেদিন সরকারের নেতৃবৃন্দ ও মুজিববাহিনীর কমান্ডারগণসহ আমরা বিজয়ীর বেশে স্বাধীন বাংলাদেশের শত্রুমুক্ত প্রথম মুক্তাঞ্চল যশোরে প্রবেশ করি। জনসাধারণ আমাদের বিজয়মাল্যে ভূষিত করে। সে আনন্দ অনুভূতির কথা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। মনে পড়ে, জেনারেল ওবানের কথা। তিনি দেরাদুনে আমাদের ট্রেনিং দিতেন। জেনারেল সরকার ও শ্রী ডি পি ধর, যারা আমাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করে কো-অর্ডিনেট করতেন। মুজিববাহিনীর হেডকোয়ার্টার ছিল কলকাতা। আমরা মুজিববাহিনীর চার প্রধান প্রতি মাসেই মিলিত হতাম। দেরাদুনের ট্রেনিং ক্যাম্পে গিয়ে আমরা বক্তৃতা করতাম। তারপর যার যার স্থানে চলে যেতাম। আমাদেরকে যিনি সার্বিক সহযোগিতা করতেন, তিনি হলেন ফনীন্দ্র নাথ মুখার্জী, তথা পিএন মুখার্জী। যাকে আমরা ‘মিস্টার নাথ’ বলে সম্বোধন করতাম। যিনি মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই অর্থাৎ ’৬৯-এর অক্টোবরে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে লন্ডনে দেখা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভারত সরকারের ভূমিকা কী হবে তা বঙ্গবন্ধুকে অবহিত করেছিলেন। যুদ্ধকালীন অর্থকড়ির ব্যবস্থা তার মাধ্যমেই হয়েছিল। তাকেও আজ গভীরভাবে মনে পড়ে। অনেকে বাংলাদেশ সরকারের সাথে মুজিববাহিনীর ভুল বোঝাবুঝির কথা বলেন। এটা সঠিক নয়। আমি নিয়মিত সরকারের সাথে যোগাযোগ করতাম। এখানে কারও ব্যক্তিগত খামখেয়ালির কোনো অবকাশ ছিল না। সকলেই সুসংগঠিত-পরিকল্পিত-সুশৃঙ্খল। সমগ্র বাংলাদেশকে ৪টি বৃহৎ অঞ্চলে বিভক্ত করে রাজনৈতিকভাবে অগ্রসর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে সংগঠিত ছিল মুজিববাহিনী। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত প্রধান সেনাপতি আতাউল গণী ওসমানীর নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর (এফএফ) সাথে একত্রে যুদ্ধ করে দখলদার বাহিনীকে মোকাবেলা করাই ছিল মূলত মুজিববাহিনীর কাজ। মুজিববাহিনীর অন্যতম প্রধান হিসেবে শ্রদ্ধেয় নেতা শেখ ফজলুল হক মণি ভাইয়ের দায়িত্বে ছিল তৎকালীন চট্টগ্রাম ডিভিশন ও বৃহত্তর ঢাকা জেলা; রাজশাহী বিভাগ (পাবনা ও সিরাজগঞ্জ বাদে) ও উত্তরাঞ্চলের দায়িত্বে ছিলেন সিরাজুল আলম খান; আবদুর রাজ্জাকের দায়িত্বে ছিল বৃহত্তর ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল এবং সিরাজগঞ্জসহ এক বিরাট অঞ্চল, আর আমার দায়িত্বে ছিল পাবনা, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, ফরিদপুর, বরিশাল এবং পটুয়াখালী জেলা। মুজিববাহিনীর ট্রেনিং হতো দেরাদুনে। দেরাদুনে ট্রেনিং শেষে আমার সেক্টরের যারা তাদের প্লেনে করে ব্যারাকপুর ক্যাম্পে নিয়ে আসতাম। মুজিববাহিনীর সদস্যদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের প্রাক্কালে বুকে টেনে, কপাল চুম্বন করে বিদায় জানাতাম। আমরা মুজিববাহিনীর ট্রেনিং ক্যাম্পে বক্তৃতায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মুজিবকে উদ্দেশ করে বলতাম, ‘প্রিয় নেতা, তুমি কোথায় আছো, কেমন আছো জানি না! যতদিন আমরা প্রিয় মাতৃভূমি তোমার স্বপ্নের বাংলাদেশকে হানাদার মুক্ত করতে না পারবো, ততদিন আমরা মায়ের কোলে ফিরে যাবো না।’ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর যেদিন দেশ শত্রুমুক্ত হলো সেদিন আমরা বিজয়ীর বেশে মায়ের কোলে ফিরে এলাম। ১৮ ডিসেম্বর আমি এবং আব্দুর রাজ্জাক-আমরা দু’ভাই হেলিকপ্টারে ঢাকায় আসি। স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পদার্পণ করি। চারদিকে সেকি আনন্দ, ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না! প্রথমেই ছুটে গিয়েছিলাম-বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী শ্রদ্ধেয়া বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, আজকের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা, শেখ রাসেলসহ-বঙ্গবন্ধু পরিবারকে যেখানে বন্দী করে রাখা হয়েছিল সেখানে। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন এবং মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি কর্নেল ওসমানীর এডিসি ছিলেন এবং শেখ জামাল দেরাদুনে আমার সঙ্গেই ছিল। কিন্তু বিজয়ের আনন্দ ছাপিয়ে কেবলই মনে পড়ছিল প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধুর কথা। যে স্বাধীন বাংলার স্লোগান তুলেছিলাম রাজপথে; যে বাংলার জন্য বঙ্গবন্ধুর গতিশীল নেতৃত্বে কাজ করেছি; পরমাকাক্সিক্ষত সেই বাংলাদেশ আজ স্বাধীন হয়েছে। আজ আমরা হানাদার মুক্ত, স্বাধীন।

বাংলাদেশ সরকারের নেতৃবৃন্দ অপূর্ব দক্ষতায়, দল-মত-শ্রেণী নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে, আস্থা ও বিশ্বাসে নিয়ে সফলভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন ২২ ডিসেম্বর। বিমানবন্দরে নেতৃবৃন্দকে বিজয়মালা দিয়ে অভ্যর্থনা জানাই। রাজপথে লক্ষ লক্ষ মানুষ। মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বণি ‘জয়বাংলা’ স্লোগানে সর্বত্র মুখরিত। চারদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের মহাসমাবেশ আর আনন্দ মিছিল। মানুষ ছুটে আসছে আমাদের দেখতে। বিজয়ের সেই সুমহান দিনগুলোতে সাধারণ মানুষের চোখে-মুখে গৌরবের যে দীপ্তি আমি দেখেছি, সেই রূপ বিজয়ের গৌরবমমণ্ডিত আলোকে উদ্ভাসিত। স্বজন হারানোর বেদনা সত্ত্বেও প্রত্যেক বাঙালীর মুখে ছিল বিজয়ের হাসি; যা আজো আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে। কিন্তু বিজয়ের আনন্দ ছাপিয়ে কেবলই মনে পড়ছিল প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধুর কথা। যার সাথেই দেখা হয়, সকলের একই প্রশ্ন, ‘বঙ্গবন্ধু কোথায় আছেন, কেমন আছেন, কবে ফিরবেন?’ বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য সর্বস্তরের মুক্তিকামী বাঙালীর ঘরে ঘরে রোজা রাখা, বিশেষ দোয়ার আয়োজন চলছিল। বঙ্গবন্ধু বিহীন বিজয় অপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অক্টোবরে বঙ্গবন্ধুর ফাঁসির আদেশ হয়েছিল। দেশ স্বাধীন না হলে ডিসেম্বরেই বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলানো হতো। কিন্তু আমরা জানতাম বীর বাঙালীর উপর নেতার আস্থার কথা। তিনি তো গর্ব করে বলতেন, ‘ওরা আমাকে হত্যা করতে পারে। কিন্তু বাংলার মানুষকে তারা দাবিয়ে রাখতে পারবে না। ওরা আমাকে হত্যা করলে লক্ষ মুজিবের জন্ম হবে।’ ১৬ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয়ে বিজয় অর্জন করার পরেও আমরা নিজদেরকে স্বাধীন ভাবতে পারিনি। কারণ, বঙ্গবন্ধু তখনও পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী। আমরা পরিপূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করেছি সেদিন, যেদিন ’৭২-এর ১০ জানুয়ারি বুকভরা আনন্দ আর স্বজন-হারানোর বেদনা নিয়ে জাতির পিতা তার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন।

ডিসেম্বরের ১৪ তারিখ বাঙালী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের পূর্বপরিকল্পিত নীলনকশানুযায়ী নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছিল পাকিস্তানীদের দোসর এদেশীয় রাজাকার-আলবদর বাহিনীর ঘাতকেরা। ডিসেম্বর মহান বিজয়ের গৌরবময় মাস হলেও ১৪ ডিসেম্বর আমাদের বেদনার দিন। মনে পড়ে নির্ভীক সাংবাদিক শহিদ সিরাজুদ্দীন হোসেনের কথা। যার কাছে আমি ঋণী। ’৬৯-এর গণ-আন্দোলনের অগ্নিঝরা দিনগুলোতে যিনি আমাকে বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। মনে পড়ে শহিদ বুদ্ধিজীবী সর্বজনাব মুনীর চৌধুরী, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, গিয়াসউদ্দীন আহমদ, আনোয়ার পাশা, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, ড. আবুল খায়ের, শহীদুল্লাহ কায়সারসহ শহিদ বুদ্ধিজীবীদের কথা। জাতির মেধাবী সন্তানদের হত্যা করার মধ্য দিয়ে ঘাতকেরা আমাদের মেধাহীন জাতিতে পরিণত করতে চেয়েছিল।

মহান মুক্তিযুদ্ধের রক্তঝরা দিনগুলোতে সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল জাতির পিতার ডাকে দেশমাতৃকার স্বাধীনতার সূত্রে। জাতীয় ঐক্যের অভূতপূর্ব নিদর্শন ছিল সেই দিনগুলো। ছাত্র-শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী-কৃষক-শ্রমিক-যুবক সকলেই আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ অংশগ্রহণে সফল জনযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করেছি সুমহান বিজয়। আর এখানেই নিহিত আছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবের ঐতিহাসিক সাফল্য। স্বাধীনতার ডাক দিয়ে একটি নিরস্ত্র জাতিকে তিনি সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত করেছিলেন। আমরা সেদিন স্লোগান দিয়েছি, ‘জাগো জাগো বাঙালি জাগো’; ‘পিন্ডি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’; ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা’; ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’; ‘জয় বাংলা’ ইত্যাদি। সেদিন কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে বৌদ্ধ, কে খ্রিস্টান এসব প্রশ্ন ছিল অবান্তর। আমাদের মূল স্লোগান ছিল ‘তুমি কে? আমি কে? বাঙালী, বাঙালী।’ আমাদের পরিচয় ছিল ‘আমরা সবাই বাঙালী’। অথচ ভাবতে অবাক লাগে, যে পাকিস্তানের কারাগার বঙ্গবন্ধুকে আটকে রাখতে পারেনি; মৃত্যুদণ্ড দিয়েও কার্যকর করতে পারেনি-প্রধানমন্ত্রী হয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটাকে যখন তিনি স্বাভাবিক করলেন, যখন অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিলেন, ঠিক তখনই ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পরাজিত শক্তির দোসর খুনি মোশতাক-রশীদ-ফারুক-ডালিম চক্র বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করলো! যে স্বাধীনতা বিরোধীরা মাকে ছেলেহারা, পিতাকে পুত্রহারা, বোনকে স্বামীহারা করেছিল; জেনারেল জিয়া তাদেরকে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে সংবিধান থেকে উৎপাটিত করেছিল। পরাজিত শক্তির পুনরুত্থান ও দীর্ঘকাল রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকাকালে প্রতি মুহূর্তে যে বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছি-তাতে কেবলই মনে হয়েছে, বিজয়ের আনন্দ ক্ষণস্থায়ী, আর পরাজয়ের গ্লানি দীর্ঘস্থায়ী!

দু’টি লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু রাজনীতি করেছেন। একটি, স্বাধীনতা-যেই স্বাধীনতার ডাক তিনি দিয়েছিলেন ’৭১-এর ২৬ মার্চ, যা পূর্ণতা লাভ করেছে ১৬ ডিসেম্বর। আরেকটি, বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা। সেই লক্ষ্যেই তিনি দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচী দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। আজকে যদি দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচী বঙ্গবন্ধু বাস্তবায়ন করতে পারতেন, তবে বহু আগেই বাংলাদেশ মালয়েশিয়াকে ছাড়িয়ে যেতো। আজ বঙ্গবন্ধু নেই, টুঙ্গীপাড়ায় নিভৃতপল্লীতে চিরনিদ্রায় শায়িত। আর কোনদিন আসবেন না। কিন্তু তার রক্তের ও চেতনার উত্তরসূরি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পতাকা যার হাতে ’৮১ সালে আমরা তুলে দিয়েছিলাম; সেই পতাকা হাতে নিয়ে নিষ্ঠার সাথে, সততার সাথে দল পরিচালনা করে চারবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছেন! তারই সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ আন্তর্জাতিক বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। সুতরাং, সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সেই দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচী-শোষণমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে।

তোফায়েল আহমেদ : আওয়ামী লীগ নেতা; সংসদ সদস্য; সভাপতি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, জাতীয় সংসদ

Right Side Advertisement
Right Side Advertisement
Middle Advertisement
Middle Advertisement Mobile

শীর্ষ সংবাদ:

সারাদেশে তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে আজ থেকে ৪ দিন বন্ধ থাকবে পোস্তগোলা সেতু মাতৃগর্ভে থাকা শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ নয়: হাইকোর্টের রায় খুব শিগগিরই শেষ হবে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমজানে পর্যাপ্ত পণ্যের আমদানির ব্যবস্থা রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী হাইকোর্টের রায়ে মা পেল ২ মেয়ে, বাবা এক মেয়ে পবিত্র শবে বরাত ২৫ ফেব্রুয়ারি লোহাগড়ায় মাশরাফীর পথ সভা বিএনপি ২১ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড, খালাস ১১ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির তথ্য অসত্য : আনিসুল হক আখাউড়ায় স্কুলের বার্ষিক ফলাফল প্রকাশ ও বিদায় সংবর্ধনা সন্তান হারানোর ব্যথাটা কত কষ্টের পরিবারই জানে : হাইকোর্ট কাপ্তাইয়ে বন্য হাতির আক্রমণে এক শিক্ষার্থী নিহত উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের ইশতেহার : নাছিম নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ইতিহাস গড়লেন টাইগারদেরা সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্বাচন : রিট শুনবেন না হাইকোর্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভোট বর্জনের আহ্বানে লিফলেট বিতরণ রিমির আবেদনে সাড়া দেননি চেম্বার আদালত সাতদিন আদালত বর্জনের ঘোষণা ব্যাংকের ১১ কোটি টাকা ছিনতাই মামলার প্রতিবেদন দাখিল হয়নি আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে মন্দিরে ভোট চাইলেন মমতাজ রাবিতে স্মার্ট ক্লাসরুম উদ্বোধন জনগণের প্রতিরোধে সরকার টিকবে না বিএনপি আসলে নির্বাচন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো : কাদের বিএনপি নির্বাচনে আসেনা নিজেদের কারণে : শেখ পরশ নির্বাচনি আচারণবিধি লংঘন, মাশরাফিকে জরিমানা সাকিবকে সতর্ক করলো ইসি প্রথমবারের মত কূটনীতিকদের অগ্রগতি জানাবে ইসি ইলেকশন অবজারভার কনসোর্টিয়ামের আত্মপ্রকাশ বিরোধী নেতা-কর্মীদের ভয় দেখাতে নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড অব্যাহত নবীজীর রওজা শরিফে বছরে একবারের বেশি যাওয়া যাবে না ঝিনাইদহে বড়দিন উদযাপন ফজলুর রহমানের মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক টুকুর নির্দেশনায় রেলপথে নাশকতা: সিটিটিসি প্রধান ভোটকেন্দ্রে যেতে জোর জবরদস্তি করা যাবে না : ডিএমপি কমিশনার উত্তরায় ট্রেন লাইনচ্যুত ভোটের দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা ফেনীতে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু সীমান্ত সড়কে ট্রাক খাদে পড়ে হেলপার নিহত মঙ্গল-বৃহস্পতিবার বিএনপির গণসংযোগ ঝিনাইদহ-১ আসনের নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ ইসির খালে অবৈধভাবে মাছ চাষ বন্ধে দ্রুতই অভিযান: মেয়র আতিক বিএনপির আলতাফসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রায় ২৮ ডিসেম্বর ন্যান্সির বাসায় চুরির মামলায় প্রতিবেদন দাখিল হয়নি খুলনায় ১২ কেজি গাঁজাসহ আটক ১ ঝিনাইদহের নৌকার প্রার্থীর অফিস ভাঙচুর কারো প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি: ইসি আলমগীর রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত তারিকুল ইসলাম রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত তারিকুল ইসলাম অপরাধ প্রমাণিত হলে শাস্তি: কাদের ফালুর অবৈধ সম্পদের মামলায় সাক্ষ্য হয়নি রেল ও সড়কপথ নিরাপদ রাখতে ২৫০০ আনসার গাজায় সময়ের সাথে দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি ফেনীর বিভিন্ন স্থানে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচিতে দেশে ১৪৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন খালেদার কেবিনে অজ্ঞাত যুবকের প্রবেশচেষ্টা, রিজভীর উদ্বেগ অবরোধ সমর্থনে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত আ. লীগের প্রার্থীদের হুশিয়ার করলেন ওবায়দুল কাদের অসহযোগের প্রথম দিনেই জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে: রিজভী বেনাপোলে ফাতেমা হত্যায় শ্বশুর-শাশুড়ি আটক আলজেরিয়ায় দুর্ঘটনায় গোলরক্ষক ও কোচ নিহত সন্ত্রাসীসহ ওয়ারেন্টভুক্তদের গ্রেফতার: পুলিশ সদর দপ্তর নির্বাচনে আমার উপর আক্রমণ হতেই পারে : হিরো আলম সাতক্ষীরায় সভা ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ বিরোধী দলের ২ জনসহ চারজন শনাক্ত: র‍্যাব বিএনপি-জামায়াতের ১২১ নেতাকর্মীর দণ্ড, খালাস ৪৬ জন নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কমিশন কাজ করে যাচ্ছে : ইসি রাশেদা বিএনপির ‘অসহযোগ আন্দোলন’ অতিরিক্ত সমস্যা: ডিএমপি কমিশনার আমারা বলতে চাই নির্বাচনে যাচ্ছি : জাপা মহাসচিব ডিএনসিসি মেয়রের সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ ভোটকেন্দ্রের শৃঙ্খলা রক্ষায় জিরো টলারেন্স : ইসি আহসান হাবিব পেষ্ট কন্ট্রোল প্রয়োগের ভুল তথ্যের কারণে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে ট্যাক্স, বিল বাকিদের আদায়ের হুশিয়ারি: কাদের মেট্রোরেলে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা এসএসসি পরীক্ষা ২০২৪ সময়সূচি প্রকাশ বিএনপির ১৪ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড ট্রেনে আগুন : নাশকতাকারীদের নাম পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ বিজয় নিয়ে কোনো চিন্তা নেই: হানিফ শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন, শুনানি ২ জানুয়ারি প্রার্থিতা বৈধ পেতে সাদিকের শুনানি ২ জানুয়ারি ফেনীতে নৌকার মিছিলে হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে রিজভীর লিফলেট বিতরণ বিশ্বে ফের বাড়ছে করোনার আতঙ্ক নির্বাচনে আমাদের উপর দেশি-বিদেশি কোন চাপ নেই রোমানিয়াতে বাংলাদেশিসহ আটক ১০৭ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রথম পর্বের ফল প্রকাশ মানুষের সেবা করব, অভিনয় চালিয়ে যাব : মাহিয়া মাহি স্মার্ট ও সুশৃঙ্খল সৈনিক হিসেবে কাজ করতে হবে : বিজিবি ডিজি খালেদা জিয়ার দুই মামলায় চার্জ গঠন শুনানির নতুন তারিখ অপহরণ করে ৯ লাখ টাকা আদায় করেন ২ এসআই গাংনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ভ্যান চালকের ঝিনাইদহে সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করদাতা সম্মাননা পেলেন জাহেদ ইকবাল ৩ দিনের গণসংযোগ, ১ দিনের অবরোধ ঘোষণা বিএনপির ভোটে আসার আর সুযোগ নেই : ইসি আলমগীর বেড়েই চলেছে চীনে ভূমিকম্পের মৃত্যুর সংখ্যা এবার বিএনপির ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক গাজীপুরে জাল টাকার নোটসহ চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা আমানসহ ২১৩ নেতাকর্মীর বিচার শুরু ৪ জনের মৃত্যুতে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটি পেলো নতুন সভাপতি-সম্পাদক আগুনে মানুষ হত্যাকারীদের মনুষ্যত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রধান বিচারপতির প্রার্থিতা ফেরাতে ফের আদালতে সাদিক শাহজালালে নারী যাত্রীর কাছে মিললো ৮ কেজি সোনা বেনাপোলে শ্রমিকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ আহত ৫ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশু পার্ক উদ্বোধন নাশকতায় ছাড় পাবে না কেউ : র‍্যাব মহাপরিচালক জেলে ২০ হাজার নয়, ১১ হাজার নেতাকর্মী বন্দী: কাদের সরকারের পরিকল্পনায় ট্রেনে আগুন’ রাবিতে শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ বিএনপি জনপ্রত্যাখ্যাত রাজনৈতিক দল : নিজাম উদ্দিন হরিণাকুন্ডুতে পুকুরে মিলল বৃদ্ধার লাশ ঝিনাইদহে নির্বাচনী সহিংসতা, আহত ২ বিএনপি মাথা মুন্ডুহীন জনপ্রত্যাখ্যাত দল: নিজাম হাজারী অনলাইন গেমের ফাঁদে কিশোরীদের ব্লাকমেইল, গ্রেফতার প্রতারক হাজারীবাগে জমি দখল করতে গিয়ে হামলার অভিযোগ ‘জনগণ তাদের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ফেরত চায়’ সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি আনিছুরের জানাযায় আইজিপি যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা জি কে শামীমের জামিন স্থগিত নির্বাচন করতে পারছেন না সাদিক আবদুল্লাহ ‘সরকারের নাশকতার দায় বিরোধী দলের ওপর চাপানো হচ্ছে’ ১০৪ বার পেছাল সাগর-রুনির প্রতিবেদন কসোভোর বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে বাসে আগুন সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন ট্রেনে আগুনে ৪ জনের মৃত্যু; দুজনের পরিচয় মিলেছে সোহেলের নেতৃত্বে শান্তিনগর-কাকরাইলে মিছিল হরতালকারীরাই রেলে আগুন দিয়েছে: ডিএমপি কমিশনার বেনাপোলে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামী পলাতক প্রার্থিতা ফিরে পেলেন আ. লীগের শামীম হক রাজধানীতে রিজভীর নেতৃত্বে ঝটিকা মিছিল ট্রেনে আগুন সুপরিকল্পিত নাশকতা: বিএনপি ট্রেনে আগুন সুপরিকল্পিত নাশকতা: বিএনপি রিট খারিজ, প্রার্থিতা ফিরে পেলেন না শাম্মী আহমেদও ৯ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন গ্রহণের নির্দেশ আজ সুপ্রিম কোর্ট দিবস হাইকোর্টেও ব্যর্থতা : প্রার্থিতা ফিরে পেলেন না আ.লীগের শামীম কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে আজ বাংলাদেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক সংঘর্ষের কবলে বাইডেনের বহরের গাড়ি ১৫ দিনের ছুটিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে ৯.৭ ডিগ্রি অগ্নিসন্ত্রাস করে জনগণকে জয় করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেতাসহ আট আইনজীবীর জামিন বিএনপি-জামায়াতের ২৭ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড রাঙ্গামাটিতে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে জাপা’র হারুন ফেনীতে ২৭ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ১ গাজীপুরে রেললাইন নাশকতার ঘটনায় সাতজন গ্রেপ্তার আচরণবিধি লঙ্ঘনে ক্ষমা চাইলেন মাহিয়া মাহি লায়ন্স ক্লাবের আন্তর্জাতিক প্রতিনিধির সাথে রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত ৩ জানুয়ারি মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি বেনাপোলে ২ কোটি টাকার স্বর্ণের বার জব্দ হিরো আলমের ওপর হামলার প্রতিবেদন ২৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনায় বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী সোমবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল বিএনপির মারা গেছেন কুয়েতের আমির সাজেকে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় ফেনীতে ৪০০ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা ঝিনাইদহে গোয়াল ঘরে আগুন, দগ্ধ ৩টি গরু রাবিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে লাখো মানুষের ঢল বিজয় মিছিলে নির্বাচনবিরোধী কর্মকাণ্ড করা যাবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে যা লিখলেন প্রধানমন্ত্রী ইসির আপিল শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ২৭৫ জন শরিকদের জয়ের নিশ্চয়তা দেবে না আ. লীগ : কাদের ইরানে পুলিশ স্টেশনে হামলায় নিহত ১১ নাশকতা এড়াতে নতুন কৌশলে চলবে ট্রেন চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত, জনদুর্ভোগ চরমে বরিশাল-৫ আসনে জাহিদের প্রার্থীতা বৈধ, বাদ পড়লেন সাদিক জামালপুরে সড়কে প্রাণ গেল দুই ব্যবসায়ীর অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব থাকায় শাম্মীর প্রার্থীতা বাতিল ফরিদপুর-৩ আসনে বাদ পড়লেন শামীম, টিকে রইলেন আজাদ মেসির জার্সি ৮৫ কোটি টাকায় বিক্রি আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত এক বাংলাদেশি হ্যালো স্যার,একটু দরজাটা খুলবেন! চাঁদ দেখা গেছে জমাদিউস সানি শুরু বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ছোট্ট সোনামণির শ্রদ্ধা গাজীপুরে রেলে নাশকতার ঘটনায় ঢাকায় মামলা ভবিষ্যতেও দুই দেশের বন্ধুত্ব অব্যাহত থাকবে : ভারতীয় হাইকমিশনার ঝিনাইদহে শিশুদের ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ ফেনীতে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত বিএনপির রাজনীতি করার অধিকার নেই : প্রধানমন্ত্রী নৌকার সালামের প্রার্থীতা বাতিল পাঁচ দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ২৫৭ জন কাঁচা খেজুরের রস বিক্রি বন্ধের অনুরোধ ২০২৪ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ৭৬ দিন একদিন পর রেল চলাচল শুরু সাংবাদিকদের ওপর দুর্বৃত্তের হামলা : আসামি কারাগারে ১৮ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি ঢাকায় একদিনে ২.৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমেছে রাবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত ইসিতে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের হাতাহাতি, আটক ২ ঝিনাইদহে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন মজনুসহ ১৩ জনের আড়াই বছরের কারাদণ্ড, খালাস ৫ বিএনপি নেতা নীরবসহ ৩৪ জনের কারাদণ্ড পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৩ ডিগ্রি মির্জা ফখরুলের জামিনের শুনানি রোববার নির্বাচন নয়, বানরের পিঠে ভাগাভাগি হচ্ছে : মইন খান বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আখতারুজ্জামানের প্রার্থীতা বৈধ অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি টেক ট্রিপের আত্নপ্রকাশ সভা-সমাবেশ বন্ধে ইসির সিদ্ধান্ত গণবিরোধী: বিএনপি অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে : ওবায়দুল কাদের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বিএনপির আন্দোলন মানুষ হত্যা করা: প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি ডিপজল মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ বাজারে সরবরাহ বেড়েছে মুড়িকাটা পেঁয়াজ, দামও কম ইসির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় প্রথমবার টিএসসিতে থামল মেট্রোরেল স্পেনের বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে : প্রধানমন্ত্রী রিজার্ভে যোগ হবে আইএমএফের দ্বিতীয় কিস্তি : বাংলাদেশ ব্যাংক শাহবাগে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবে নিহতের পরিবার : রেলওয়ে মহাপরিচালক গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা বিএনপির নাশকতা: কাদের নুরের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন ৭ ফেব্রুয়ারি যশোর-৪ আসনে আ.লীগ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে রিট শাহজালালে ৭ ঘণ্টা ফ্লাইট উঠানামা বন্ধ ধানমন্ডিতে বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা কমলাপুরে ইশরাকের নেতৃত্বে বিএনপির মিছিল বাড়বে শীত,আসছে শৈত্যপ্রবাহ ২০ লাখ টাকার লোভে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা গাজীপুরে লাইনচ্যুত ট্রেন,নিহত ১,আহত ৭ থার্টি ফার্স্ট নাইটে ডিএমপির কড়া সতর্কতা টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে মাহিয়া মাহির শ্রদ্ধা পুলিশের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে: আইজিপি আগুন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : কাদের বুয়েট শিক্ষার্থী হত্যা মামলার তারিখ পেছাল প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা : আপিল বিভাগে নিপুণের জামিন বহাল হার্ট ব্লক ও মানসিক অবস্থা ধানমন্ডিতে ছাত্রদলের মিছিল খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ৪ ইউপিডিএফ সদস্য নিহত সকালের শুরুতেই গুলিস্তানে বাসে আগুন ফেনীতে মূসক সম্মাননা পেলেন ৯ প্রতিষ্ঠান বঙ্গভবনে শাকিবের সঙ্গে মার্কিন নায়িকা বিপুল সম্পদে, তবুও স্বপদে বহাল দুদকের মাহবুবুল আলম জাতীয় নির্বাচনের তফসিল বৈধ: হাইকোর্ট ইতালিতে ২ ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইসির বৈঠক দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে আপিল শুনানি বায়ূ দূষণের শীর্ষে ঢাকা আওয়ামী লীগের যৌথ সভা আজ গাজায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৩০০ ফিলিস্তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেই ভোটার নয় : ইসি আওয়ামী লীগে যোগদিলেন বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী সম্মেলন আজ, থাকছে বাংলাদেশও অর্ধবেলা সুপ্রিম কোর্টের বিচারিক কাজ বন্ধ যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোয় নিহত ৬ আইল্যান্ডে প্রাইভেটকারের ধাক্কা, নিহত ২ ভারত থেকে এলো ৭৪৩ টন পেঁয়াজ মানবাধিকার দিবসে চলছে বিএনপির মানববন্ধন ইসিতে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন যারা কমিশনার ও এসপিদের প্রত্যাহারের নির্দেশ ইসির