
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের আকাশে তীব্র গরমের দাপট চলছে, বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা ও রাজশাহী জেলায়। আজ শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর, যা চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। রাজশাহীতে এই তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের অন্যান্য এলাকাতেও তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে, তবে কিছু অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি তাপদাহ চলছে।
এদিন ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যা গতকালের থেকে কিছুটা বেশি ছিল। ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম এবং বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপদাহ চললেও, চুয়াডাঙ্গা ও রাজশাহী জেলায় তীব্র তাপদাহের অবস্থা। চুয়াডাঙ্গা, যা আজকের দিনটি নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে, তাতে প্রায় সবারই সমস্যা হচ্ছে, বিশেষত গরমে কাজ করতে গিয়ে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, তাপদাহের এই অবস্থা আগামী ২ দিন পর্যন্ত চলতে পারে, বিশেষত চুয়াডাঙ্গা ও রাজশাহী অঞ্চলে। তবে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ জানিয়েছেন, ‘আগামী ২ দিন তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে, তবে তারপর থেকে কিছুটা হালকা তাপমাত্রা অনুভূত হবে।’
এদিকে, আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক বলেছেন, 'আগামী সোমবার থেকে তীব্র তাপদাহ আর থাকবে না, তবে মৃদু থেকে মাঝারি তাপদাহ কিছু অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে থাকতে পারে।' তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, ১৬ মে পর্যন্ত দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টিপাত তুলনামূলকভাবে কম হতে পারে।
এ বছর এপ্রিল মাসে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে বৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা বেশি ছিল, কিন্তু এবারের তাপদাহের বিস্তৃতি আগের তুলনায় অনেক বড়। চলতি বছর দেশের প্রায় সব অঞ্চলে তাপদাহ ছড়িয়ে পড়েছে, যা প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য কিছুটা উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন যে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাতের ফলে তাপদাহ কিছুটা কমে যাবে, তবে এটি পর্যাপ্তভাবে শান্তি ফিরিয়ে আনার আগে আরও কিছুদিন ব্যাপী হতে পারে।
এতে সাধারণ মানুষসহ কৃষক, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে কৃষকদের মাঠে কাজের পরিবেশে এই তীব্র গরম তাদের জন্য বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ