ছবি: সংগৃহীত
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ এখন একটা সংকটময় মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা জাতি হিসেবে, দেশ হিসেবে কোন দিকে যাব, গণতন্ত্রের পথে কিভাবে হাঁটব—সবকিছুই নির্ভর করছে কিন্তু আগামী নির্বাচনের ওপর।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের জাতীয় নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা মহড়া ও মৌলিক প্রশিক্ষণের (চতুর্থ ধাপ) সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি) মাঠে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
আনসার সদস্যদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘একটা বাহিনীর সদস্য হওয়া ছাড়াও আমরা কিন্তু এই দেশের নাগরিক। আমাদের একটা নাগরিক দায়িত্বও আছে। যেকোনো নির্বাচনে, বিশেষ করে এই নির্বাচনে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিশাল ভূমিকা থাকবে। সংখ্যার দিক থেকে এটাই সর্ববৃহৎ বাহিনী।
দেশের যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায়, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এই বাহিনীর সদস্যরা ঝাঁপিয়ে পড়েন।’
তিনি বলেন, ‘আমি চিফ ইলেকশন কমিশনার, সেটা ছাড়াও নাগরিক হিসেবে আমার একটা দায়িত্ব আছে। ভবিষ্যতের জন্য কোন ধরনের বাংলাদেশ রেখে যাব? গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রেখে যাব কী? কিভাবে রেখে যাব, সেই চিন্তা সারাক্ষণ আমাকে ভাবায়। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটাকে একটা রুটিন দায়িত্ব হিসেবে নেই নাই, চাকরি হিসেবে নেই নাই।
এটাকে আমি মিশন হিসেবে নিয়েছি, চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি।’
সিইসি বলেন, ‘আমরা এবার উদ্যোগ নিয়েছি আপনারা যাঁরা ডিউটিতে থাকবেন, তাঁরা যাতে ভোটটা দিতে পারেন পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে, সে উদ্যোগটা আমরা নিয়েছি। ইনশাআল্লাহ ১৬ নভেম্বর অ্যাপটা শুরু করব। আপনারা রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নেবেন পোস্টাল ব্যালটের জন্য। আপনাদের ঠিকানা, বাড়ির ঠিকানায় ব্যালট পৌঁছে যাবে ইন টাইম।
সরকারি চাকরিজীবী যাঁরা বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত থাকেন, ভোটার এলাকার বাইরে থাকেন, তাঁরা যাতে ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থারও আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আইনি হেফাজতে যাঁরা জেলে আছেন, তাঁরাও তো এ দেশের নাগরিক। তাঁরা যাতে ভোট দিতে পারেন, সে উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। প্রবাসীদেরও ভোট দেওয়ার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।’
সিইসি বলেন, ‘দেশের প্রত্যেকে মিলে, ভোটাররা, বাহিনীর সদস্যরা, সাংবাদিক ভাই-বোনেরা, রাজনৈতিক দলগুলো—সবার সহযোগিতা ছাড়া একটা সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব নয়। জাতি যাতে এগোয়, গণতন্ত্র যাতে এগিয়ে যায়, এখানে আমরা সক্রিয় ভূমিকা রাখব।’
সিইসি সতর্ক করে বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভোট ও প্রার্থীদের নিয়ে অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হতে পারে। এ বিষয়ে তিনি সবাইকে সচেতন থাকতে বলেন।
বাংলাবার্তা/এমএইচ
				.png)
.png)
.png)



