
ছবি: সংগৃহীত
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ৮৮৭.৫ গ্রাম (৭৬ ভরি) স্বর্ণসহ ৩ জনকে আটক করেছে।
রোববার (১৭ আগস্ট) রাতে বাংলাবার্তাকে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অপারেশনাল কমান্ডার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ০৩ টি পৃথক ঘটনায় যথাক্রমে ২৯৩.৫০ গ্রাম, ৩৯৫ গ্রাম , এবং ১৯৯ গ্রামসহ মোট ৮৮৭.৫০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধারসহ মোট ০৩ জনকে আটক করে। সকাল ৯টা ২০ মিনিটে বিমানবন্দরের বহির্গমন ও আগমনী টার্মিনালের গোলচত্ত্বর এলাকায় ২৯৩.৫০ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কারসহ মোঃ সালেহ ফয়সাল (২৭) কে আটক করে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ। উক্ত স্থানে তল্লাশিকালে আটককৃত ব্যক্তির নিকট থেকে সর্বমোট ২৯৩.৫০ (দুইশত তিরানব্বই দশমিক পঞ্চাশ) গ্রাম স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ছত্রিশ লক্ষ দশ হাজার পঞ্চাশ টাকা।
আরও জানা যায়, একইদিনে দুপুর ১৩.৪৫ মিনিটে বিমানবন্দরের ০২ নং আগমনী টার্মিনালের মিডিয়া কর্ণার সংলগ্ন এলাকায় মনিরুল ইসলাম (৩৪) নামীয় একজন ব্যক্তি কে আটক করা হয়। উক্ত স্থানে তল্লাশিকালে আটককৃত ব্যক্তির নিকট হতে সর্বমোট ৩৯৫ (তিনশত পঁচানব্বই) গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয় , যার আনুমানিক বাজার মূল্য ছেচল্লিশ লক্ষ একুশ হাজার পাঁচশত টাকা। উভয় ঘটনায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর ২৫ বি এর ১ (বি)/২৫-ডি ধারায় দুইটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয় ।
এছাড়াও ১৯৯ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কারসহ সকাল ১০.২০ মিনিটে বিমানবন্দরের ০২ নং আগমনী টার্মিনালে মাসুম রানা (৩২) নামীয় একজন ব্যক্তিকে আটক করে তল্লাশিকালে আটককৃত ব্যক্তির নিকট সর্বমোট ১৯৯ (একশত নিরানব্বই) গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে ধৃত আসামী মাসুম রানা (৩২) এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিমানবন্দরস্থ বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে প্রেরণ করা হয়।
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, উদ্ধারকৃত স্বর্ণালংকারগুলো তারা বিভিন্ন দেশ হতে অজ্ঞাতনামা যাত্রীর মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে আনয়ন করে। আটককৃত প্রত্যেকেই দীর্ঘদিন যাবৎ বিমানবন্দরে স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেট এর সাথে জড়িত এবং রিসিভার হিসেবে কাজ করে আসছে বলে জানা যায় ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এয়ারপোর্ট (১৩) আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এর অপারেশনাল কমান্ডার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক জানান, "বিমানবন্দর এলাকায় চোরাচালান রোধ ও অন্যান্য অপরাধ দমনে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ অত্যন্ত সতর্ক। স্বর্ণ চোরাচালানের তৎপরতা রোধকল্পে আমরা বরাবরের মতোই শক্ত অবস্থানে আছি।"
বাংলাবার্তা/এসজে