
ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৪৭ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এ সময়ে ইসরাইলি অবরোধের ফলে সৃষ্ট অনাহারে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (১৭ আগস্ট) ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে কমপক্ষে ৬১ হাজার ৯৪৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় ৪৭টি মৃতদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে এবং ২২৬ জন আহত হয়েছেন। যার ফলে ইসরাইল হামলায় আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৮৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘উদ্ধারকারীরা পৌঁছাতে না পারায় অনেক ভুক্তভোগী এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। ‘
মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করেছে, গত ২৪ ঘন্টায় মানবিক সাহায্য নিতে গিয়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর গুলিতে ১৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৩২ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। যার ফলে গত ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত সাহায্য নিতে গিয়ে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ১ হাজার ৯৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে এবং আরও ১৪ হাজার ৪২০ জন আহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় উপত্যকায় অপুষ্টি ও অনাহারে আরও সাতজন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দুর্ভিক্ষজনিত মৃত্যুর সংখ্যা ২৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ১১০ জন শিশু।
গত ২ মার্চ থেকে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ গাজার সব সীমান্ত ক্রসিং সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়েছে। যার ফলে অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলি ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের যোদ্ধারা। এদিন ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।
হামাসের হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ।
এছাড়া গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। পাশাপাশি উপত্যকাটিতে আগ্রাসনের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও রয়েছে ইসরাইল।
বাংলাবার্তা/এমএইচ