
ছবি: সংগৃহীত
জনপ্রিয় ইউটিউবার, অভিনেতা ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সালমান মুক্তাদির আবারো আলোচনায় এসেছেন দেশের বাইরে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে। সম্প্রতি একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়, যেখানে স্পষ্টভাবেই তিনি জানিয়েছেন, নিজের সব শখ ও স্বপ্ন পূরণ হলেই তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যাবেন।
ভিডিওতে সালমান মুক্তাদির বলেন, “আমি বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাব—এটাই আমার নতুন পরিকল্পনা। এটা আবেগ নয়, বাস্তবতার ভিত্তিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত। অনেক দিন ধরেই আমি এই বিষয়টা নিয়ে ভাবছি। বরাবরই বলে এসেছি, যখন আমার সব শখ পূরণ হবে, তখন আমি বিদেশে চলে যাব।”
তিনি আরও বলেন, “ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল বিদেশে গিয়ে বসবাস করার। পরিবার গড়ে তোলার জন্য, জীবনের মান উন্নয়নের জন্য, এমনকি মানসিক প্রশান্তির জন্যও বাইরের দেশ অনেক বেশি উপযোগী। সেখানকার জীবনযাত্রা, পরিবেশ, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ—সব মিলিয়ে বিদেশে জীবন অনেক সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ।”
সালমান জানান, তাঁর ইচ্ছা শুধু বিদেশে গিয়ে বসবাস করার নয়, বরং সেখানে থেকেই নিজের ক্যারিয়ারকে আরও বড় পরিসরে গড়ার। তিনি বলেন, “আমার আরও বড় হওয়ার শখ আছে। আমি চাই আরও এগিয়ে যেতে। আল্লাহ যদি চান এবং আমার সঙ্গে থাকেন, আমি ইনশাআল্লাহ আরও বড় হবো। আমার আকাঙ্ক্ষা অনেক বেশি, আমি কখনোই থেমে থাকতে চাই না।”
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, বিদেশে গিয়ে তিনি দেশের বিষয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকবেন। “আমি এখন বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলি কারণ আমি এ দেশে থাকি, দেশের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু যখন আমি এ দেশে থাকব না, তখন আমি আর দেশ নিয়ে কথা বলব না, কেননা তখন সেই অধিকার আর আমার থাকবে না। আমি বিশ্বাস করি, নিজের দেশের মাটিতে না থাকলে, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলার নৈতিকতা হারিয়ে যায়।”
তবে সালমান মুক্তাদির আশ্বাস দিয়েছেন, বিদেশে গিয়ে যদি দেশের জন্য কিছু করার সুযোগ পান, তবে সেই সুযোগ তিনি কাজে লাগাবেন। তাঁর ভাষায়, “আমি যদি বিদেশে গিয়ে এমন কিছু করতে পারি যা দেশের কল্যাণে কাজে আসে, তাহলে আমি অবশ্যই সেটা করব। দেশের জন্য ভালোবাসা আমার ভেতরে সবসময় থাকবে, কিন্তু অবস্থান বদলে গেলে কাজের ধরণটাও বদলাতে হয়।”
উল্লেখ্য, সালমান মুক্তাদির প্রথম আলোচনায় আসেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যতিক্রমী কনটেন্ট তৈরি করে। তাঁর অভিনয় দক্ষতা ও সাহসী বক্তব্য তাঁকে তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে। তবে তাঁর উত্থান যেমন প্রশংসিত হয়েছে, তেমনি বিতর্কও তাঁকে পিছু ছাড়েনি।
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তাঁর খোলামেলা বক্তব্য দেশের তরুণদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। কেউ বলছেন, এ এক বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি, আবার কেউ বলছেন, একজন জনপ্রিয় শিল্পীর মুখে এমন ঘোষণা হতাশাজনক। তবে সালমান মুক্তাদির বরাবরের মতোই নিজের সিদ্ধান্তে অটল এবং প্রকাশ্যে নিজের ভবিষ্যতের পরিকল্পনা নিয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন।
এই মুহূর্তে তিনি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত কাজ করছেন। কিন্তু তাঁর স্পষ্ট ঘোষণা অনুযায়ী, খুব শিগগিরই হয়তো সালমান মুক্তাদিরকে দেখা যাবে প্রবাসজীবনে নতুন অধ্যায় শুরু করতে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ