
গায়ক উদিত নারায়ণ
গায়ক উদিত নারায়ণ। একসময়ে তার সুরেলা কণ্ঠের জাদু ছড়িয়ে পড়েছিল বলিউডে। হিন্দি ছাড়াও তামিল, মালয়ালম, কন্নড়, বাংলা, ভোজপুরির মতো অনেক ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। ৬৮ বছর বয়সী এই গায়কের সম্পদ কত ও জাতীয়তা কি— এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বহুবার।
অনেক মিডিয়া রিপোর্ট দাবি করেছে যে, উদিত নারায়ণ একজন নেপালি। কিন্তু এই সমস্ত রিপোর্টকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে উদিত বলেছিলেন তিনি বিহারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যেটি তার মাতৃভূমি।
এক সাক্ষাতকারে গায়ক বলেছিলেন যে, আমি নেপাল থেকে এসেছি, কিন্তু আমার মা বিহারের। ঠিক আছে, এই প্রবণতা অব্যাহত ছিল এবং ভারত সরকার ২০১৬ সালে উদিত নারায়ণকে পদ্মভূষণ দিয়ে সম্মানিত করেছে।
উদিত নারায়ণের মোট সম্পদ সম্পর্কে কথা বললে, মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, তিনি ১৫০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। অসংখ্য চলচ্চিত্র ও অ্যালবামে গান গেয়ে তিনি এই সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া টিভি রিয়েলিটি শোতে বিচারক হিসেবেও দেখা যায় তাকে।
উদিত তার পরিবারের সঙ্গে মুম্বাইতে একটি বিলাসবহুল বাড়িতে থাকেন। এ ছাড়া বিহারে তার একটি বাড়িও রয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি সারা দেশে বেশ কিছু স্থাবর সম্পত্তির মালিক। উদিত নারায়ণের কাছে মার্সিডিজ-বেঞ্জ এস ক্লাসের মতো কিছু বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে যার মূল্য ১.৫ কোটি টাকা।
উদিত নারায়ণ ১৯৫৫ সালের ১ ডিসেম্বর মৈথিলী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম উদিত নারায়ণ ঝা। উদিত তার মায়ের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখান থেকেই প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। এরপর তিনি নেপাল থেকে ইন্টার্ন করেন। উদিত ১৯৭০ সালে ১৫ বছর বয়সে রেডিও নেপালে মৈথিলি এবং নেপালি গান উপস্থাপন করা শুরু করেন।
১৯৮০ সালে ‘উনিশ-বিশ’ ছবিতে মো. রাফির সঙ্গে বলিউডে গান শুরু করেন। এরপর কিশোর কুমারের সঙ্গে গান করারও সুযোগ পান তিনি। ১৯৮৮ সালে, আমির খান এবং জুহি চাওলার ছবি ‘কেয়ামত সে কেয়ামত’ দিয়ে তিনি তার চিহ্ন তৈরি করেছিলেন। এই ছবির ‘পাপা কেহতে হ্যায়’ গানটি বেশ জনপ্রিয়তা পায় এবং এই গানটির জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও পান। উদিত চারবার জাতীয় পুরস্কার এবং পাঁচবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছেন।
এর বাইরে আরও অনেক পুরস্কার জিতেছেন নিজের নামে। কিন্তু ২০০৯ সালে যখন তাকে পদ্মশ্রী পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়, তখন তার জাতীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।