
ছবি: সংগৃহীত
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় আজ বৃহস্পতিবার জানা যেতে পারে। গতকাল বুধবার বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
মামলায় অন্য অভিযুক্তরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক ও রাজসাক্ষী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
প্রসিকিউটর বলেন, ‘আজ (বুধবার) শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ও রাজসাক্ষী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের পক্ষের আইনজীবী তাঁদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছেন।
আগামীকাল (আজ) প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে আমরা জবাব দেব।
এরপর প্রধান প্রসিকিউটর ও অ্যাটর্নি জেনারেল তাঁদের চূড়ান্ত বক্তব্য দেবেন। এরপর ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারণ করবেন বলে আমরা আশা করছি।’ তিনি আরো বলেন, রাজসাক্ষী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের জবানবন্দিতে ট্রু অ্যান্ড ফুল ডিসক্লোজার হয়েছে বলে মনে করে প্রসিকিউশন।
অন্যদিকে আদালতে আসামিপক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন অভিযুক্তদের নির্দোষ দাবি করে তাঁদের খালাস চান। তিনি বলেন, ‘সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন নিজের অপরাধ আড়াল করে অন্যদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নিজেকে বাঁচাতে রাজসাক্ষী হয়েছেন।’
তিনি অভিযোগ করেন, মামুনের জবানবন্দি গ্রহণের প্রক্রিয়াটি যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়নি। তিনি যুক্তিতর্কের সময় আরো বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন কোটা সংস্কারের জন্য ছিল, তখন আন্দোলন বৈধ ছিল।
তবে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন ছিল অবৈধ।
বিচারপতি মো. গোলাম মোর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট ট্রাইব্যুনাল বুধবার আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শোনা শেষ করেছেন।
বাংলাবার্তা/এমএইচ