
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ পেমেন্ট সিস্টেমসের ২০২৪ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর দেশে ডিজিটাল মাধ্যমে মোট ৭৬ হাজার ৩৪০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি। ২০২৩ সালে ডিজিটাল লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭৫ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। তবে একই সময়ে নগদ লেনদেন বেড়েছে ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ, যা ডিজিটাল লেনদেনের চেয়ে দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালে ডিজিটাল মাধ্যমে ৪০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা লেনদেন হয়। ২০২৩ সালে যা ছিল ৩৬ কোটি ৬৭ লাখ। গত বছর নন-ডিজিটাল লেনদেনে হয় ৪৫ কোটি ৪৯ লাখ। তার আগের বছরের এই লেনদেন ছিল ৩৪ কোটি ৬৩ লাখ। এসব লেনদেন চেক, ভাউচার ও ওভার দ্য কাউন্টারের মাধ্যমে হয়।
বছরজুড়ে মোট লেনদেনের ৪৭ থেকে ৫৬ শতাংশ ছিল ডিজিটাল। কিন্তু মূল্যের দিক থেকে নন-ডিজিটাল লেনদেন প্রাধান্য বিস্তার করেছে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ। এটি নির্দেশ করে যে মানুষ ছোট ও মাঝারি মূল্যের অর্থ প্রদানে ডিজিটাল চ্যানেল ব্যবহার করলেও বড় অঙ্কের লেনদেনে এখনো নগদ, চেক ও ওভার দ্য কাউন্টার পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ অটোমেটেড চেক প্রসেসিং সিস্টেমের মাধ্যমে ১১ লাখ ৭৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। বিডি আরটিজিএস ব্যবহৃত প্ল্যাটফর্মে লেনদেন হয়েছে ২৬ হাজার ৭২১ কোটি টাকা।
বাংলাবার্তা/এমএইচ