
সংগৃহীত ছবি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাটল ট্রেনের ছাদে বসে গাছের ধাক্কায় আহতদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাত থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তারা হলেন- আমজাদ হোসেন সোহাগ (১৮), খলিলুর রহমান (২২) ও অংসইনু মারমা (২১)।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. নূরুল আলম আশিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাটল ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত ১৬ জনকে রাতেই চমেক হাসপাতালে আনা হয়। তাদেরকে প্রথমে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি দেওয়া হয়। এর মধ্যে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তিন জনকে রাতেই চিকিৎসকের পরামর্শে আইসিইউতে হস্তান্তর করা হয়।
তিনি বলেন, নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে পাঁচ জন চিকিৎসাধীন আছেন। এরা হলেন- তাইজুল ইসলাম (২১), আবু সাইদ (২৪), মোহাম্মদ সান (২১), রাফসান (২৩) ও আসলাম (২২)। একই ঘটনায় আহত আরও আট জনকে হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে চট্টগ্রাম শহর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী একটি শাটল ট্রেন রাত সাড়ে ৮টার দিকে চৌধুরীহাট এলাকায় কাত হওয়া একটি গাছের ডালের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ট্রেনের ছাদে থাকা অন্তত ২০ জন আহত হন। ঘটনার জেরে রাত ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে ভাঙচুর ও আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নুরুজ্জামান বলেন, শাটল ট্রেনের ভেতরে জায়গা না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ছাদে চড়ে যাতায়াত করেন। কয়েকদিন আগেই চৌধুরীহাট এলাকার একটি গাছের ঢাল কিছুটা কাত হয়ে পড়ে। এতে বৃহস্পতিবার বিকালেও ছাদে থাকা তিন শিক্ষার্থী আহত হন। রাতে অন্ধকার থাকায় ক্যাম্পাসগামী ট্রেনের ছাদে থাকা শিক্ষার্থীদের গাছের ঢালের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলে তিন জন ট্রেন থেকে পড়ে যান। কমপক্ষে ২০ জনের মতো আহত হন।
রাত ১২টায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে যান উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। এ সময় তিনি আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খোঁজ নেন। চিকিৎসায় যাতে কোনও ত্রুটি না হয়- এ জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি শাটল ট্রেন প্রতিদিন মোট ১৪ বার চট্টগ্রাম শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করে। প্রতিটি শাটল ট্রেনে ১০টি করে বগি আছে। তবে শিক্ষার্থীর তুলনায় বগি কম হওয়ায় ট্রেনের ছাদে করে আসা যাওয়া করে অনেক শিক্ষার্থী।