
ছবি সংগৃহীত
মিয়ানমার অলিম্পিক দলের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আজই ১৯তম এশিয়ান গেমসে যাত্রা শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের। পুরুষ অলিম্পিক দল বাংলাদেশ সময় বেলা ২টায় এ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে চীনের হ্যাংজু শহরের আওশান স্পোর্টস কমপ্লেক্স ফুটবল গ্রাউন্ডে।
এশিয়ার ২১ দল ছয় গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অংশ নিচ্ছে পুরুষ ফুটবলে। মিয়ানমার ছাড়াও বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে স্বাগতিক চীন ও ভারত। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল এবং চারটি সেরা তৃতীয় স্থান পাওয়া দল নাম লেখাবে দ্বিতীয় রাউন্ডে। এশিয়াডের গেল আসরেই ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয়পর্বে নাম লিখিয়েছিল বাংলাদেশ যুব দল। সেবার জামাল ভূঁইয়ার গোলে কাতারের মতো দলকে হারিয়ে দ্বিতীয়পর্ব নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
এবারও শুরুতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে রাখা হয়েছিল এশিয়াডের দলে। তবে তার আর্জেন্টাইন ক্লাব সোল ডি মায়ো এশিয়াডের জন্য জামালকে ছাড়েনি বলে তাকে ছাড়াই খেলতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। শুধু তা-ই নয়, এএফসি কাপের খেলা থাকায় সিনিয়র কোটায় বসুন্ধরা কিংস থেকে নেওয়া বাকি দুই ফুটবলারও নিজেদের সরিয়ে নেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে হাভিয়ের কাবরেরা সিনিয়র কোটায় তিনজনের জায়গায় দুজনকে নিতে পেরেছেন। শক্তি-সামর্থ্যরে মতো এ দিক থেকেও গ্রুপের অন্য দলগুলোর চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
তা ছাড়া এশিয়াডের পুরো স্কোয়াডকে একসঙ্গে খুব বেশি সময়ের জন্য পাননি কোচ কাবরেরা। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জাতীয় দলের ২ ম্যাচ সিরিজ ও থাইল্যান্ডে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপের বাছাই একসময়েই থাকায় সব খেলোয়াড়কে একসঙ্গে পাননি কোচ। চার দিন আগে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার আগের দিন থাইল্যান্ড থেকে ফেরা দলের বেশ কজন এশিয়াডগামী দলের সঙ্গে যোগ দেন। চীনে অবশ্য দুদিন একসঙ্গে প্র্যাকটিসের সুযোগ হয়েছে। সেই প্রস্তুতি নিয়েই আজ মিয়ানমারের কাছে পরীক্ষা দিতে হবে।
এত কিছুর পরও মিয়ানমারের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে চমকে দেওয়া একটা পারফরম্যান্স আশা করছেন সহকারী কোচ হাসান আল মামুন। গতকাল ভিডিও বার্তায় জাতীয় দলের সাবেক এই তারকা বলেন, ‘আপনারা জানেন এই দলটার কিছু খেলোয়াড় ছিল থাইল্যান্ডে। এদের পেয়েছি এখানে আসার আগের দিন। সিনিয়র কোটায় আমরা দুজনকে যুক্ত করতে পেরেছি। কারণ বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড় যারা ছিলেন এবং জামাল ভূঁইয়া তাদের ব্যস্ত ঘরোয়া সূচির কারণে আসেননি। একটা তারুণ্যনির্ভর দল নিয়ে এসেছি। আমরা চাচ্ছি তাদের আন্তর্জাতিক মঞ্চের অভিজ্ঞতা দিতে। কারণ গ্রুপে চীন, ভারত, মিয়ানমারের মতো দল আছে। আমরা দেখতে চাই, যে পরিকল্পনায় কোচ খেলাতে চান, সেটা তারা খেলতে পারে কি না।’
মিয়ানমারকে নিয়ে হোমওয়ার্কটা ভালো হয়েছে উল্লেখ করে হাসান আল মামুন বলেন, ‘আমরা টেকটিক্যালি মিয়ানমারকে নিয়ে অনেক স্টাডি করেছি। ওদের সেরা খেলোয়াড় কারা, কোন স্টাইলে তারা খেলে এসব জেনেছি। পুরো দলকে একসঙ্গে একটু আগেভাগে পেলে ভালো হতো। তারপরও ছেলেরা প্রস্তুত হচ্ছে। মিয়ানমারের সঙ্গে যদি আমরা কিছু করতে পারি, তবে গ্রুপটা উন্মুক্ত হয়ে যাবে। আপনারা জানেন যে চারটি সেরা তৃতীয়স্থান পাওয়া পরের ধাপে যাবে। মিয়ানমারের বিপক্ষে যদি চমকে দেওয়া কিছু করতে পারি তাহলে বড় ব্যাপার হবে।’