ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার বলেছেন, কিয়েভ যদি মস্কোর দাবি করা ভূখণ্ড থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়, তাহলে তিনি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চালানো আক্রমণাত্মক অভিযান বন্ধ করবেন—অন্যথায় তার সেনাবাহিনী শক্তি প্রয়োগ করে সে ভূখণ্ড দখল করবে।
সংখ্যায় কম এবং অস্ত্রশস্ত্রে পিছিয়ে থাকা ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যয়বহুল লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে রুশ সেনাবাহিনী ধীরে কিন্তু স্থিরভাবে পূর্ব ইউক্রেনে অগ্রসর হচ্ছে।
এদিকে প্রায় চার বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ওয়াশিংটন নতুন করে উদ্যোগ জোরদার করেছে এবং একটি চমকপ্রদ পরিকল্পনা উত্থাপন করেছে, যা তারা মস্কো ও কিয়েভের সঙ্গে আসন্ন আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করতে চায়।
কিরগিজস্তান সফরকালে পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেনীয় বাহিনী যদি তারা যে ভূখণ্ড ধরে রেখেছে তা ছেড়ে দেয়, তাহলে আমরা যুদ্ধ কার্যক্রম বন্ধ করব।
যদি তারা না দেয়, তাহলে আমরা সামরিক উপায়ে তা অর্জন করব।’
বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। দখলকৃত ভূমির প্রশ্ন—যা কিয়েভ স্পষ্টভাবে বলেছে যে তারা কখনোই ছাড়বে না—শান্তি প্রক্রিয়ার সবচেয়ে বড় বাধাগুলোর একটি।
আলোচনায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইউক্রেনের জন্য পশ্চিমা নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, যা কিয়েভের মতে ভবিষ্যতে যেন মস্কো আবার আগ্রাসন চালাতে না পারে, সে জন্য প্রয়োজন।
ওয়াশিংটনের প্রাথমিক পরিকল্পনা—যা ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়াই তৈরি করা হয়েছিল—অনুযায়ী কিয়েভকে তার পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হতো এবং যুক্তরাষ্ট্র কার্যত দোনেৎস্ক, ক্রিমিয়া ও লুহানস্ক অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিত।
কিন্তু কিয়েভ ও ইউরোপের সমালোচনার পর সপ্তাহান্তে যুক্তরাষ্ট্র ওই প্রাথমিক পরিকল্পনা থেকে সরে আসে, যদিও নতুন সংস্করণটি এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
নতুন পরিকল্পনাটি দেখেছেন বলে উল্লেখ করে পুতিন বলেন, এটি আলোচনার একটি সূচনাবিন্দু হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে আমরা একমত যে এটি ভবিষ্যৎ চুক্তিগুলোর ভিত্তি হতে পারে।
’ সর্বশেষ খসড়াটি যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ২০টি দফায় সংক্ষিপ্ত করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুতিন বলেন, সংশোধিত নথিটি নিয়ে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারী স্টিভ উইটকফ আগামী সপ্তাহে মস্কো সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের শীর্ষ সহকারী আন্দ্রিই ইয়ারমাক জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সচিব ড্যান ড্রিসকল চলতি সপ্তাহের শেষে কিয়েভ সফর করার কথা রয়েছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ
.png)
.png)
.png)



