ছবি: সংগৃহীত
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের তিন ভাগে মোতায়েন করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইসির দ্বিতীয় দফা বৈঠকের পর তিনি এ কথা বলেন।
সচিব বলেন, ‘একটি ভাগে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা ভোটকেন্দ্রে স্ট্যাটিক দায়িত্ব পালন করবেন। আরেকটি ভাগে থাকবেন মোবাইল ফোর্স।
তাঁরা ভ্রাম্যমাণ বা স্থায়ী চেকপোস্টে দায়িত্বে পালন করবেন। আরেকটি ভাগে থাকবেন কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ফোর্স। ইসি থেকে সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দায়িত্ব পালন করবে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কিভাবে কাজ করবে সে সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ই অন্যান্যবারের মতো দিকনির্দেশনা দেবে। নির্বাচন কমিশন ওভারঅল মনিটরিং এবং কোঅর্ডিনেশনটা দেখবে। এ ছাড়া আমরা একটা মনিটরিং সেল করব। এই মনিটরিং সেলের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সংশ্লিষ্টতা ও সমন্বয় থাকবে।
এখন সেলের সাইজ কত হবে, কতজনের প্রতিনিধি হবে, এ সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি। প্রতিনিধিদের জায়গা থেকে যাঁরা যে সংখ্যা দেবেন, আমরা সেভাবে এটা কোঅর্ডিনেট করে নেব।’
ইসি সচিব বলেন, ‘আমাদের আরেকটা সাইবার সিকিউরিটি সেল থাকবে, যেখানে মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো মনিটর করা হবে। যাতে অপতথ্যের সংস্কৃতি থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারি। এ বিষয়ে আমরা ইউএনডিপির প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করব।
পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব সক্রিয় সক্ষমতা কোঅর্ডিনেট করব।’
আখতার আহমেদ বলেন, ‘আমাদের স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানের সঙ্গে আরো কিছু প্রাসঙ্গিক বিষয় আসছে। যেমন, কন্টিনজেন্সি প্ল্যান রাখা। যদি দুই-তিনটা জায়গায় সমস্যা হয়, তাহলে যেন বিকল্প ব্যবস্থা থাকে। টেকনোলজির ব্যবহার সর্বোত্তমভাবে করা হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু জায়গায় মোবাইল অ্যাকসেস রেস্ট্রিক্টেড থাকবে, এটা নিশ্চিত করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে। বডিওন ক্যামেরা ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ফ্যাসিলিটিজ নিয়ে সার্ভিস প্রোভাইডারদের সহযোগিতা প্রয়োজন। যেসব অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি, সে বিষয়ে তৎপরতা বাড়াতে হবে। হারানো অস্ত্র ও অবৈধ অস্ত্র—উভয় ক্ষেত্রে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিষয়ে আরো নজরদারি এবং প্রয়োজনে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। বৈধ অস্ত্র ব্যবহারে সময়োপযোগী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ইসি সচিব বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রিয়াল পাওয়ার ২০২৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।’
পোস্টাল ভোটের বিষয়ে সচিব বলেন, ‘বিদেশ থেকে আসা এই ভোটের দ্বৈত নিরাপত্তা দেওয়া হবে। এয়ারপোর্ট ও তেজগাঁও মেল সর্টিং সেন্টারের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠানোর সময় নিরাপত্তা দেওয়া হবে। কাউন্টিং সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, নির্বাচন কমিশনের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব বাহিনী নেই। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষ বাহিনীর সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর আমরা নির্ভরশীল। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, প্রথম দিন থেকেই মাঠে কাজ করবে এবং কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।’
বাংলাবার্তা/এমএইচ
.png)
.png)
.png)



