ছবি: সংগৃহীত
রেকর্ড রান তাড়া করতে নেমে বড় পরাজয় দেখল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি টি-টোয়েন্টিতে ৩৯ রানের পরাজয় দেখল লিটন দাসের দল। হারটা আরো বড় হতে পারত। যদি ক্যারিয়ারসেরা ৮৩ রানের অপরাজিত ইনিংস না খেলতেন তাওহিদ হৃদয়।
আজকের আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি জয় পেয়েছিল আয়ারল্যান্ড। দুটিই উইকেট ব্যবধানের। ১৮২ রান তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৪২ রান করে স্বাগতিকরা। হৃদয় ফিফটি না করলে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আজ দলীয় সর্বনিম্ন স্কোরের বিব্রতকর রেকর্ড গড়ত বাংলাদেশ।
যা অল্পের জন্য কানের ওপর দিয়ে গেছে। আগেরটি ছিল ১২৪ রানের। ২০২৩ সালে এই চট্টগ্রামেই করেছিল বাংলাদেশ।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।
দলীয় ১৮ রানে নেই ৪ উইকেট। আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেওয়া ব্যাটার হচ্ছেন—তানজিদ হাসান তামিম (২), লিটন দাস (১), পারভেজ হোসেন ইমন (১) ও সাইফ হাসান (৬)। সেখান থেকে ৪৮ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে কোনো রকমে এক শ রানের সংগ্রহ এনে দিতে অবদান রাখেন তাওহিদ হৃদয়-জাকের আলি অনিক।
ব্যক্তিগত ২০ রানে জাকের আউট হতেই আবারও তাসের ঘরের মতো ধসে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার। ‘নিঃসঙ্গ শেরপার’ মতো একাই শুধু লড়াই করলেন হৃদয়।
ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি করে দলের পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছেন তিনি। ১৬৬.০০ স্ট্রাইকরেটে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ক্যারিয়ারসেরা ৮৩ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। আগের সর্বোচ্চ ছিল ৬৩। ২০২৪ সালে ভারতের বিপক্ষে হায়দরাবাদে করেছিলেন তিনি।
সব বিভাগে ব্যর্থ হওয়া বাংলাদেশের সাফল্য তাই হৃদয়ের ইনিংস। প্রতিপক্ষের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন ম্যাথিউ হামফ্রিস। বাঁ-হাতি স্পিনারের বিপরীতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন পেসার ব্যারি ম্যাকার্থি।
এর আগে হ্যারি টেক্টরের ফিফটিতে রেকর্ড ১৮১ রানের সংগ্রহ পায় আয়ারল্যান্ড। যা বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের দলীয় সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১২ সালে বেলফোস্টে করা ১৪৫। তিনে নেমে অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংস খেলেছেন হ্যারি। ৫ ছক্কা ও ১ চারের বিপরীতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান করেছেন তার আপন ছোট ভাই টিম টেক্টর। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব।
বাংলাবার্তা/এমএইচ
.png)
.png)
.png)



