
ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণ এশিয়ার আকাশপথে অন্যতম সক্রিয় ও দ্রুত বর্ধনশীল বেসরকারি উড়োজাহাজ সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স-এর জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মোঃ কামরুল ইসলাম আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এক অনন্য সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে আয়োজিত এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ সামিট-২০২৫ এ তাঁকে প্রদান করা হয়েছে 'ইন্টারন্যাশনাল আইকোনিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস-২০২৫'। এ পুরস্কার মূলত দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে জনসংযোগ, ব্যবসায়িক নেতৃত্ব এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি বৃদ্ধিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রদান করা হয়ে থাকে।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় গত ১৭ মে ২০২৫, মালেতে অবস্থিত ভিলা ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অডিটরিয়ামে। এই বর্ণাঢ্য আয়োজনের প্রধান অতিথি ছিলেন মালদ্বীপ সরকারের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব হারিস মোহামেদ। তাঁর হাত থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার গ্রহণ করেন ইউএস-বাংলার পরিচিত মুখ, মোঃ কামরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে মালদ্বীপ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হোসাইন নিহাদ, ডেপুটি মিনিস্টার-ফিটনেস ও রিক্রিয়েশন মন্ত্রণালয়, আবদুল জলিল ইসমাইল, ডেপুটি মিনিস্টার-ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়, এবং এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ সামিটের নির্বাহী পরিচালক মো. গোলাম ফারুক মাজনু। এছাড়াও মালেতে অবস্থানরত বাংলাদেশ হাইকমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরাও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
মোঃ কামরুল ইসলামের এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি শুধু তাঁর ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং এটি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স-এর সার্বিক অগ্রযাত্রা এবং বাংলাদেশের বেসরকারি এভিয়েশন খাতের একটি গৌরবজনক অর্জন হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। গত এক দশক ধরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রীসেবা, কর্পোরেট কমিউনিকেশন ও ব্র্যান্ড ইমেজে যে পেশাদারিত্ব দেখিয়েছে, তার পেছনে অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করে আসছেন এই জনসংযোগ বিশেষজ্ঞ।
পুরস্কার গ্রহণের পর প্রতিক্রিয়ায় কামরুল ইসলাম বলেন, “এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি কেবল আমার একার কৃতিত্ব নয়; এটি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স-এর প্রতিটি কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অংশীজনদের সম্মিলিত পরিশ্রম এবং দেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নের প্রতিফলন। আমি কৃতজ্ঞ আমাদের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রতি, যাঁরা আমাকে সবসময় স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন এবং একটি পেশাদার পরিবেশ নিশ্চিত করেছেন।”
প্রসঙ্গত, কামরুল ইসলাম ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স-এর শুরুর দিক থেকেই যুক্ত রয়েছেন এবং প্রতিষ্ঠানের জনসংযোগ ও মিডিয়া কৌশলগত দিকগুলোর বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। তাঁর হাত ধরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্র্যান্ড হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এই আন্তর্জাতিক সম্মাননা বাংলাদেশের এভিয়েশন, জনসংযোগ এবং কর্পোরেট ব্র্যান্ডিং খাতে একটি ইতিবাচক বার্তা বহন করে। কামরুল ইসলামের মতো অভিজ্ঞ পেশাদারদের আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বীকৃতি পাওয়া নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতের পথচলায় আরও অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাবার্তা/এসজে