ছবি: সংগৃহীত
মালয়েশিয়ায় আরেকটি ভয়াবহ নারী পাচারের ঘটনা ঘটেছে। সাভারের নাজনীন নামের এক তরুণীকে ঢাকার পল্টনে অবস্থিত সততা ট্রাভেলস রেস্টুরেন্ট ম্যানেজার হিসেবে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাঠায়। গত ১৫ নভেম্বর সকাল ৮:২৫ মিনিটে ইউএস-বাংলা বিমানের রিটার্ন টিকিট দিয়ে তাকে নিয়ে যায় ট্রাভেলসটির মালিক সোহাগ।
মালয়েশিয়ায় পৌঁছে নাজনীন তার পরিবারকে প্রথম যে বার্তাটি দেন, তা হলো তাকে একটি অচেনা হোস্টেলের একটি ঘরে একা বন্দি করে রাখা হয়েছে। এর পরপরই পুরো ঘটনার ভয়াবহতা সামনে আসে।
পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতার সুযোগ নিয়ে সুমন নামের এক ব্যক্তি নাজনীনকে মালয়েশিয়ায় ভালো চাকরির আশা দেখিয়ে দালাল মন্টু এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর মন্টু তাকে পল্টনের সততা ট্রাভেলসের আরাফাতএর কাছে পাঠায়। আরাফাত রেস্টুরেন্টে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে নাজনীনের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা গ্রহণ করেন।
এরপর সততা ট্রাভেলসের মালিক সোহাগ নাজনীনকে সাথে নিয়ে মালয়েশিয়া যায়। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পরই বাস্তবতা বদলে যায় নাজনীনকে বন্দি করে রাখা হয়, এবং সেদেশে থাকা মন্টু ও সোহাগ মিলে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করতে থাকে।
আজ, ১৭ নভেম্বর দুপুরের মধ্যে মুক্তিপণ পাঠানোর আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। তারা পরিবারকে জানায় Tazul Islam, A/C: 1521580002460, DBBL এই অ্যাকাউন্টে টাকা না পাঠালে নাজনীনকে বিক্রি করে দেওয়া হবে, এবং তার “বড় ক্ষতি” করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আরাফাত পরিবারকে জানায় “টাকা না দিলে যা হওয়ার দায় তারা নেবে না।”
এটি একটি সুসংগঠিত আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্র, যারা বছরের পর বছর নারীদের চাকরির প্রলোভনে বিদেশে পাঠিয়ে জিম্মি করে অর্থ আদায় করছে।
নাজনীন এখন জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকিতে। এমন অবস্থায় তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও দ্রুত উদ্ধার নিশ্চিত করা রাষ্ট্র, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং দূতাবাসের জরুরি দায়িত্ব।
আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ মিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করার জোর অনুরোধ জানাই।
বাংলাবার্তা/এসজে
.png)
.png)
.png)



