
সংগৃহীত ছবি
পাকিস্তানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেফতারের পর দেশটিতে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, পকিস্তানের পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। খবর জিও নিউজের।
সুনাক বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতারের বিষয়টি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ইস্যু। আইনের শাসন ও শাস্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আমরা সমর্থন করি।
অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি বলেছেন, তার দেশ পাকিস্তানে শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্র দেখতে চায়। যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে তিনি এ কথা বলেন।
এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন, ইমরান খানের গ্রেফতারের পর পাকিস্তানের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সবাইকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানান তিনি।
মহাসচিব ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনীত কার্যক্রমে যথাযথ প্রক্রিয়া ও আইনের শাসনকে সম্মান করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বলেও জানান তার মুখপাত্র।
এর আগে ইমরান খানের সমর্থকদের ‘রাষ্ট্রীয় শত্রু’ অ্যাখ্যা দিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
পিটিআইয়ের সমালোচনা করে শাহবাজ শরিফ বলেন, দলটির কর্মীরা যে অপরাধ করছে তা ক্ষমার অযোগ্য।
গ্রেফতারের একদিন পর পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) ইমরান খানকে ১৪ দিনের রিমান্ডে চেয়েছিল।