শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, অগ্রাহায়ণ ২৩ ১৪৩০

বাংলা বার্তা || Bangla Barta

বৈরী আবহাওয়া

জাহাজ চলাচল বন্ধ, সেন্টমার্টিনে আটকা ৪ শতাধিক পর্যটক

এম.এ আজিজ রাসেল, কক্সবাজার 

প্রকাশিত: ০০:৩৬, ১৭ নভেম্বর ২০২৩; আপডেট: ১২:৫৪, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

জাহাজ চলাচল বন্ধ, সেন্টমার্টিনে আটকা ৪ শতাধিক পর্যটক

তিন শতাধিক পর্যটক ফেরত এলেও আরও চার শতাধিক সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছে। ছবি: এম.এ আজিজ রাসেল

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসন। এতে বুধবার (১৫ নভেম্বর) বেড়াতে গিয়ে দ্বীপে থেকে যাওয়া প্রায় চার শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে।

নিম্নচাপের প্রভাবে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফে বুধবার দুপুরের পর থেকে আবহাওয়া গুমোট হয়ে ছিল। সাগর ক্রমেই উত্তাল হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের ট্রাফিক সুপারভাইজার মো. জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, 'আবহাওয়ার সতর্ক সংকেতের বার্তা জাহাজ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।'

বিআইডব্লিউটিএ জাহাজঘাটের ইজারাদারের উশুল আদায়কারী সূত্র জানায়, 'টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কেয়ারি সিন্দাবাদে ১৩২ জন, আটল্যান্টিকে ৮৯ ও এমভি বার আউলিয়া করে ২৯৮ জন পর্যটক সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গেছেন। পরে জাহাজে করে বিকাল ৩টায় তিন শতাধিক পর্যটক ফেরত আসলেও অন্যরা দ্বীপে রয়ে গেছেন। আগের দিন মঙ্গলবার বেড়াতে গিয়ে রাতযাপনের জন্য ছিলেন দেড় শতাধিক পর্যটক। ফলে দ্বীপে এখন চার শতাধিক পর্যটক অবস্থান করছেন।'

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, 'আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ, স্পিডবোট, কাঠের বোট বা যেকোনো জলযান চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপে অবস্থানরত সব পর্যটককে নিরাপদে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্র জানিয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় থাকা নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় আছে। এটি সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোতে ও ঘনীভূত হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হয়ে চলেছে। সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।

Right Side Advertisement
Right Side Advertisement
Middle Advertisement
Middle Advertisement Mobile