ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ সরকারের তদন্ত প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের মোটা অঙ্কের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা উঠে এসেছে। লেবার পার্টি এই এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার খালা স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাকে তহবিল আত্মসাৎ করতে সহায়তা করেছেন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ‘চুপ’ করে আছে লেবার পার্টি।
সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন, টিউলিপের অর্থ আত্মসাতের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত হওয়া গেলে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে কিছুটা জটলতা তৈরি হতে পারে।
তবে লেবার পার্টির অভ্যন্তরীণ সদস্যরা এই অভিযোগকে ‘বাগাড়ম্বর’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন যে এ বিষয়ে সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে তারা এখনও যোগাযোগ করেননি।
বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন মঙ্গলবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে যে, শেখ হাসিনার পরিবার একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং আটটি বড় মাপের প্রকল্প নির্মাণের উদ্দেশ্যে বেআইনিভাবে ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন পাউন্ড চুরি করেছে এমন অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই সবগুলো প্রকল্পই বাস্তবায়ন করেছে আওয়ামী লীগ। ৭৬ বছর বয়সী বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী এই প্রধানমন্ত্রী ১৫ বছর দেশের ক্ষমতায় ছিলেন। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে তিনি ভারতে পালিয়ে যান।
তার শাসনামলে বিরোধীদের কঠোর হাতে দমন করা হয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে এবং গোপনে বন্দী করে রাখা হয়েছে। তার নির্দেশে দেশজুড়ে বিচার-বর্হিভূত হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে।
৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে এবং ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রধানমন্ত্রী, এমপি ও মন্ত্রীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। এদিকে এই তদন্তের বিষয়ে টেলিগ্রাফ অনুরোধ করলেও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি টিউলিপ সিদ্দিক।
বাংলাবার্তা/এমআর
.png)
.png)
.png)



