ছবি: সংগৃহীত
প্রত্যাবর্তনটা পূর্ণতা পেল না। নেপালের বিপক্ষে পিছিয়ে থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু পুরনো রোগ ঝেঁকে বসে বাংলাদেশকে। তাতে আরেকবার শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে ২-২ ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো বাংলাদেশকে।
অথচ হামজা চৌধুরীর জোড়া গোলে দারুণ কামব্যাক করেছিল বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশকে চোখধাঁধানো বাইসাইকেল কিকে সমতায় ফিরিয়েছিলেন তিনি। পরে তার পানেনকা পেনাল্টিতে হাসিমুখে মাঠ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ মুহূর্তের গোল হজম আরেকবার বাংলাদেশের হাসি কেড়ে নিল। তাতে তার জোড়া গোল ম্লান হয়ে যায়।
জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হলে আক্রমণের চেয়ে দুই দলই বল পায়ে রাখতে মনোযোগী হয়। ২৬ মিনিটে এক গোলের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে নেপালের ডি বক্সে পাওয়া বলটি ঠিক মতো নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারায় ফাহিমের শট নেওয়ার আগেই গোলরক্ষক ধরে ফেলেন।
উল্টো ২৯ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সুমিত শ্রেষ্ঠার দারুণ এক কাটব্যাকে গোলটি করেন রোহিত চাঁদ। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় গোলটি করেন নিচু শটে। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও তা প্রতিহত করতে পারেননি গোলরক্ষক মিতুল মারমা।
পিছিয়ে পড়ে আক্রমণে ধার বাড়িয়েও প্রথমার্ধে সমতায় ফিরতে পারেনি বাংলাদেশ।
৪৪তম মিনিটে গোলবারে একটা হেড নিয়েছিলেন ফাহিম। সেটা সরাসরি নেপালের গোলরক্ষক কিরন কুমারের হাতে চলে যায়। পরে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
তবে সমতায় ফিরতে সময় নেয়নি বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই বাংলাদেশকে সমতায় ফেরান হামজা। দুর্দান্ত এক ওভারহেড কিকে ক্যারিয়ারের তৃতীয় গোল করেন তিনি। ফাহিমের ক্রস নেপালের এক খেলোয়াড় হেডে বিপদমুক্ত করার চেষ্টা করলে বল পান জামাল ভূঁইয়া। বক্সের মধ্যে হামজার উদ্দেশে বল বাড়ান বাংলাদেশের অধিনায়ক। তার বাড়ানো বলেই পরে বাইসাইকেল কিকে জাল কাঁপান লেস্টার সিটির মিডফিল্ডার।
তিন মিনিট পর বাংলাদেশকে এগিয়েও দেন হামজা। এবার পেনাল্টিতে। ৪৮ মিনিটে নেপালের এক ডিফেন্ডার রাকিবকে বক্সের মধ্যে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। সুযোগ পেয়ে পানেনকা পেনাল্টিতে নেপালের গোলরক্ষককে বোকা বানান হামজা। ৮০ মিনিটে বদলি হলে পরে আর হ্যাটট্রিক পাওয়া হয়নি তার। তার বদলি হিসেবে আজ বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছে কিউবা মিচেলের।
৬৩ মিনিটে প্রায় গোল শোধই দিয়েছিল নেপাল। তবে নেপালের খেলোয়াড়ের শট কোনোরকমে প্রতিহত করেন মিতুল। তার হাতে লেগে বল বারে বাধা পায়। যোগ করা সময়ে সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ পায় নেপাল। গোলবার থেকে বেরিয়ে এসে কর্নারের বিনিময়ে বাংলাদেশকে রক্ষা করেন মিতুল। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। সেই কর্নারেই গোল হজম করে বাংলাদেশ। নেপালকে সমতায় ফিরিয়ে উদযাপনের মধ্যেমণি হন অনন্ত তামাং।
বাংলাবার্তা/এমএইচ
.png)
.png)
.png)



