ছবি: সংগৃহীত
গুঞ্জন ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেবে না। আসনটি জোটের শরীক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ-সভাপতি জোনায়েদ আল হাবিবকে ছেড়ে দেওয়া হবে। হয়েছেও তাই।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটিসহ ৪টি আসন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে এ আসনে বিএনপি থেকে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করে আসা বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এ আসনে বিএনপির আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তবে রুমিন ফারহানার সমর্থক ছাড়া অন্যরা দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে কল করলে তিনি ফোন রিসিভ করে নিজ থেকেই বলেন, স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করবো কিনা জানতে চান? হ্যাঁ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবো। এ বলেই তিনি ফোন কেটে দেন।
সরাইল উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনিছুর রহমান ঠাকুর এ বিষয়ে জানান, দল থেকে প্রার্থী দিলে খুশি হতাম। দেশ ও দলের বৃহত্তর স্বার্থে দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে অনুযায়ী কাজ করবো। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
সাবেক সরাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টার জানান, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি কাজ করবেন।
সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও রুমিন ফারহানার সমর্থক মো. আফজল হোসেন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানান, দলের এ সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী হবে। এখানে বিএনপির অনেক ভালো ভালো প্রার্থী ছিলেন। এরমধ্যে জনপ্রিয় রুমিন ফারহানা। নির্বাচনি এলাকার তৃণমূল পর্যন্ত সবার মুখে মুখে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। বিগত ১৭ বছর এ এলাকা উন্নয়ন বঞ্চিত ছিল। বিএনপি থেকে প্রার্থী করা হলে এলাকার যে উন্নয়ন হতো বহিরাগত প্রার্থী দিয়ে তা কোন দিনই হওয়ার নয়। ফলে এখানে জামায়াত সুযোগ নিতে পারে।
তিনি আরও জানান, বুধবার রুমিন ফারহান সরাইল থেকে মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করবেন।
আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রুমিন ফারহানার সমর্থক নাসির মুন্সি জানান, রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করবেন এবং বুধবার মনোনয়ন পত্র কিনবেন।
এদিকে এ আসনে বিএনপির অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সদস্য এম, এম তরুণ দে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, এলাকার উন্নয়ন ও দলীয় নেতাকর্মীদের স্বার্থে তিনি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন।
বাংলাবার্তা/এমএইচ
.png)
.png)
.png)



