ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ মঙ্গলবার বলেছেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কখনোই পুরোপুরি গাজা উপত্যকা থেকে সরে যাবে না এবং সেখানে একটি বেসামরিক-সামরিক সেনা ইউনিট গঠন করা হবে।
অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত ইসরায়েল ও হামাসের শান্তি পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইসরায়েলি বাহিনী ধাপে ধাপে উপকূলীয় এই ভূখণ্ড থেকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করবে এবং সেখানে নতুন করে বেসামরিক বসতি স্থাপন করবে না।
তবে এক ভাষণে কাৎজ বলেন, ‘আমরা গাজার গভীরে অবস্থান করছি এবং আমরা কখনোই পুরো গাজা ছেড়ে যাব না। এমন কিছু কখনোই হবে না।
আমরা সেখানে আছি সুরক্ষার জন্য, যেন আর কখনো এমন কিছু না ঘটে।’ তিনি হামাসের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার কথা উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ইউনিটগুলোর প্রসঙ্গে কাৎজ বলেন, ‘সময় এলে, উত্তর গাজায় … যেসব (ইসরায়েলি) কমিউনিটি স্থানচ্যুত হয়েছিল, সেগুলোর জায়গায় আমরা নাহাল ইউনিট গড়ে তুলব।
সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে আমরা তা করব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের নাগরিকদের সুরক্ষার দায়িত্ব অন্য কারো ওপর ছেড়ে দিতে পারি না।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, লেবানন ও সিরিয়াতেও উপস্থিত থাকার প্রয়োজন রয়েছে।
কাৎজের ‘স্থানচ্যুত কমিউনিটি’ প্রসঙ্গটি ২০০৫ সালে গাজা থেকে সব ইহুদি বসতি প্রত্যাহারের দিকেই ইঙ্গিত করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দুই বছর ধরে চলা গাজা যুদ্ধের সময় নেতানিয়াহু বারবার গাজায় পুনরায় বসতি স্থাপনের সম্ভাবনা নাকচ করেছেন। তবে তার জোটের কিছু অতিরাষ্ট্রবাদী সদস্য গাজা পুনর্দখলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনীতে নাহাল ইউনিট মূলত বেসামরিক নাগরিকদের জন্য, যারা সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে আগ্রহী। এতে এক বছরের প্রাক-সামরিক প্রস্তুতি ও স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মসূচি থাকে। ঐতিহাসিকভাবে এসব ইউনিট ইসরায়েলি কমিউনিটি গঠনে ভূমিকা রেখেছে।
২০২৬ সালে ইসরায়েল একটি নির্বাচন বছরের দিকে এগোচ্ছে এবং বসতি ইস্যু সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কাৎজ এ বক্তব্য দেন ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীরে এক অনুষ্ঠানে, যেখানে ইসরায়েলি বসতি বেইত এল-এ এক হাজার ২০০টি নতুন আবাসন ইউনিট নির্মাণের ঘোষণা দেওয়া হয়। এই ইউনিটগুলো এমন এক ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটির জায়গায় নির্মিত হচ্ছে, যা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
পশ্চিম তীর প্রসঙ্গে কাৎজ বলেন, ‘নেতানিয়াহুর সরকার একটি বসতি সরকার… এটি কাজ করতে চায়। যদি আমরা সার্বভৌমত্ব আনতে পারি, আমরা তা আনব… আমরা এখন কার্যকর সার্বভৌমত্বের যুগে আছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘এখানে এমন সুযোগ আছে, যা অনেক দিন ধরেই ছিল না।’
বাংলাবার্তা/এমএইচ
.png)
.png)
.png)



