ছবি : সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । গত ৫ আগস্ট নতুন এক বাংলাদেশের আবির্ভাব ঘটে বিশ্বে। স্বৈরশাসক হাসিনার পতনের তিন দিনের মাথায় ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। নানামুখী চ্যালেঞ্জ, শঙ্কা-ষড়যন্ত্রের চাপ সামলে এক মাস পার করেছে নতুন সরকার।
সরকার পতনের পর সৃষ্ট বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সামাল দিয়ে স্থিতিশীলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে নতুন বাংলাদেশ। ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফিরতে শুরু করেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে।
প্রবাসীদের পাঠানো রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছে সরকারের প্রথম মাসে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিশৃঙ্খলা কাটতে শুরু করেছে। সচল হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। বৈদেশিক সম্পর্কে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বিশ্ব নেতাদের স্বীকৃতি, আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতার আশ্বাসে আস্থা ফিরছে জনমনে। এক মাস কোনো মূল্যায়নের সময় নয়। তবে এ পর্যন্ত নেয়া সরকারের উদ্যোগ সন্তোষজনক। সামনে আরও কাজ করতে হবে। সামনের এক থেকে দুই মাসের মধ্যে মানুষের আস্থা ফেরানোর মতো আরও উদ্যোগ দৃশ্যমান করতে হবে।
গৎবাঁধা চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে সৃজনশীল উপায়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। যেখানে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয় জনস্বার্থকে। আজ ৮ আগস্ট, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস পূর্ণ হলো। এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় দুর্যোগ দেশের ১২টি জেলায় বয়ে যাওয়া বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন তিনি এবং তার সরকার। তিনি বলেছেন, তিস্তা চুক্তির বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবেই ভারতের সঙ্গে কথা বলবেন। এ মাসেই তিনি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনেও যোগ দিচ্ছেন।
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন ১৯৮ জন বিশ্বনেতা। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ ৯২ জন নোবেলজয়ী। ইতোমধ্যেই জাতির সামনে ভাষণ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে তিনি আগামীর রাষ্ট্র পরিচালনার রোডম্যাপ দিয়েছেন। বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে। বৈঠকে তিনি আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়েও কথা বলেছেন।
বাংলাবার্তা/এআর