ছবি : সংগৃহীত
খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় বজ্রপাতে মো. ওবায়দুল্লাহ গাজী নামে এক মৎস্যচাষির করুণ মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিলো মাত্র ২৯ বছর।
রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল পৌনে ৮টার দিকে ডুমুরিয়ার গুটুদিয়ার কোমলপুর গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ওবায়দুল্লাহ ওই গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেন গাজীর ছেলে। তিনি পেশায় মৎস্যচাষি ছিলেন। তারা ২ ভাই এবং এক বোন। তার বাবা গরু কিনে বেঁচাকেনার ব্যবসা করতেন। মারা যাওয়া ওবায়দুল্লাহ গাজী ছোট্ট একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। যার বয়স সাড়ে ৪ বছর।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বজ্রপাতে মারা যাওয়া ওবায়দুল্লাহ সকাল পৌনে ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন গরুর জন্য খাস কাটতে। এর ঠিক আধাঘন্টা পরে পুরো আকাশ অন্ধকার করে শুরু হয় ঝড় এবং বজ্রপাত। এক পর্যায়ে বজ্রপাতে বাড়ির পাশে কানাইডাঙ্গা বিলেই মৃত্যু হয় ওবায়দুল্লাহ গাজীর।
ওবায়দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে কথা হয় তার শ্যালক সোহাগের সঙ্গে তিনি বাংলাবার্তাকে বলেন, সাংসারিক জীবনে আমার বোন খুবই সুখি ছিলো। কিন্তু এসবই এখন স্মৃতি হয়ে গিয়েছে। আমার ছোট্ট ভাগনাটার এখন কি হবে। আমার বোনের জীবনটাই শেষ হয়ে গেল। এভাবে কাঁদছিলেন আর বিলাপ করছিলেন মারা যাওয়া ওবায়দুল্লাহর শ্যালক।
এদিকে ছোট্ট ছেলেটি বাবার মরদেহের পাশে বসে ছিলেন হতভম্ব হয়ে। একদম নিশ্চুপ হয়ে বাবার মরদেহ ধরে বসে ছিলেন। কিন্তু সবকিছু এখনো বোঝার মত ক্ষমতা হয়নি প্রিয় ছেলেটির। প্রিয় বাবা আর কখনো আদর করবে না। কিংবা বাবা বলে ডাকার মত আর স্বাদ কখনো পাওয়া যাবে না। তবে মাঝে মাঝে বাবা বাবা বলে ডাকছে আর ছোট্ট ছেলেটির চোখের পানিতে পুরো বাড়ি যেন ভারি হয়ে উঠছে।
বাংলাবার্তা/এআর